নিজস্ব প্রতিবেদক
বন্যা ও নদী ভাঙনে পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্র, বই-খাতাসহ স্কুলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক স্থানে স্কুলের মেঝে দেবে গেছে। স্কুলে ঢোকার রাস্তা নষ্ট হয়েছে। এদিকে বন্যা শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এখনও শেষ হয়নি।
আংশিক পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২০ কোটি টাকার অবকাঠামো ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। তবে বন্যায় যেসব শিক্ষার্থীদের বই নষ্ট হয়েছে তারা নতুন বই পাবে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি) ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব পাঠানো হয়েছে।
ডিপিই মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ জানান, কয়েকটি জেলায় এখনও বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কোনো কোনো জেলা থেকে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির কারণে আমরা সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাইনি। করোনা এবং বন্যার কারণে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা প্রতিদিনই স্কুলে যাচ্ছেন।
ডিপিই মহাপরিচালক এবং মাউশির একজন পরিচালক জানান, একাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি পূরণে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কোনো ছেলেমেয়ের বইপত্র নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তাকে নতুন বই দেয়া হবে। জেলায় বাফার স্টকে চাহিদার ৫ শতাংশ বই সংরক্ষিত আছে। যদি কোনো জেলায় তাতেও চাহিদা পূরণ না হয়, তাহলে পার্শ্ববর্তী জেলা বা ঢাকা থেকে ব্যবস্থা করা হবে।
তারা আরও জানান, বন্যায় আলাদা করে লেখাপড়ার কোনো ক্ষতি হয়নি। করোনা পরিস্থিতির রিকভারি প্ল্যানের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার জানান, বন্যা শুরুর পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ইইডির স্থানীয় প্রকৌশলীরা পাঠাবেন। এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরি করে দেয়া হবে। সে লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুত আছি।
Discussion about this post