নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বই উৎসব নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২১ সালে বছরের প্রথম দিনেই বই উৎসব পালন করতে চায় সরকার।
বুধবার (১৯ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বই উৎসবের অপেক্ষা করেন। তাদের কথা বিবেচনা করে এ বছরও আমরা সেটি করবো ইনশাআল্লাহ। এ জন্য সাত কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ টাকা।
জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে বই উৎসব পালনের জন্য সাত কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তাতে সরকারের খরচ হবে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ টাকা। এসব বই সরবরাহের কাজ পেয়েছে দেশীয় ৯৮টি প্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের বই সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে এক হাজার ২২টি প্রতিষ্ঠান তাতে অংশ নেয়। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৯৮ জনকে এসব বই সরবরাহের কাজ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং দরপত্রে কম দাম উল্লেখ করেছে তাদেরই কাজ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্নের জন্য যারা বই সরবরাহের কাজ পেয়েছে তাদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি নেয়া হচ্ছে ১০ শতাংশ। সিকিউরিটি মানি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু সবকিছু বিবেচনা করে সেটি কার্যকর করা হয়নি। আগেরটাই রাখা হয়েছে। আমরা আশা করি সরবরাহকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো সময় মতো বই সরবরাহ করবে।
Discussion about this post