নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাজিল মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি হতে স্নাতক ডিগ্রি এবং কামিল মাদ্রাসার সভাপতি হতে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এক রিট আবেদনের রুল নিয়ে উচ্চ আদালত থেকে এ ধরনের অভিমত এসেছে। বগুড়ার এক মাদ্রাসার সভাপতির মনোনয়নের বৈধতার বিষয়ে জারি করা রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ে এমন অভিমত দেন হাইকোর্ট।
গত ২১ জানুয়ারি দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার (১৯ আগস্ট) হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির। তিনি জানান, আদালত অভিমত দিয়েছেন, মাদ্রাসার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সভাপতি হতে ফাজিল মাদ্রাসায় স্নাতক এবং কামিল মাদ্রাসায় মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
তিনি আরও জানান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে প্রথমে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনজনের নাম পাঠাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। এর মধ্যে থেকে একজনকে সভাপতি মনোনীত করবেন ভিসি।
২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে সংসদ সদস্যের ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেন ভিসি। শুধু তার নাম সুপারিশ করে পাঠিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।
পরে বাবুলকে সভাপতি পদে মনোয়ন দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম। রিটে জারি করা রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ গত ২১ জানুয়ারি এ রায় ঘোষণা করেন।
হুমায়ন কবির জানান, রায়ে মাদ্রাসার সভাপতি পদে ডিও লেটারধারী বাবলুর সভাপতি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
Discussion about this post