নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধের এই ঘোষণা আছে। চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে এবং পরীক্ষাগুলোর কী হবে, তা জানার প্রবল আগ্রহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন রবিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এসময় তিনি জানান, সেপ্টেম্বরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার মতো পরিবেশ হয়নি। উন্নত দেশ যারা স্কুল খুলেছিল, তারাও কিন্তু এখন আবার বন্ধ করে দিয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করছি, আমাদের বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলাটাই সমীচীন হবে। সেজন্য আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দুই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবো স্কুল কখন খোলা যায়।
সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কিন্তু গতকাল বলেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনও কোনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। আপনারা নিজেরাও বোঝেন আসলে পরিবেশ তৈরি হয়েছে নাকি হয়নি। এখন যে অবস্থা, এখনও কিন্তু ২০-২২ শতাংশ আক্রান্ত। সেই হিসাবে আমাদের শিশুদের-শিক্ষকদের…; স্কুল খুললে অভিভাবকেরা চলে আসবে। তাদের আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো কেন, সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা মনে করছি যে আসলে তো এখনও পরিবেশ তৈরি হয়নি।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা:
করোনার কারণে এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার বদলে স্কুলে নেওয়ার প্রস্তাব করে গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠায় প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। তবে সারসংক্ষেপের অনুমোদন এখনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফেরত আসেনি বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
সমাপনী পরীক্ষা সম্পর্কে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি যে নিজ নিজ স্কুলগুলো পরীক্ষা নেবে যদি খুলতে পারে। কেন্দ্রীয় পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা আছে। তবে সেই অনুমোদন এখনও আসেনি। পরিবেশ পরিস্থিতি বলে দেবে আমাদের কী করতে হবে।’
বার্ষিক পরীক্ষা:
এদিকে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এ সময় অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। বেতার ও টেলিভিশনেও শ্রেণি কার্যক্রমের সম্প্রচার চলছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের সময় বাড়বে কিনা জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব জানান, শিক্ষাবর্ষ বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, আমরা বলিনি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানবো। মুখ্য সচিবের সঙ্গে যে মিটিং হয়েছিল সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে এই বছরের মধ্যে শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের আগে স্কুলগুলো খুলতে পারবো। খুলতে পারলে আমরা যে ৩৫ শতাংশ পড়িয়েছি এবং ঘরে বসে টিভি ও রেডিও’র মাধ্যমে পাঠদান করছি, স্থানীয় শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন। আমরা এখনি বলছি না যে অটো পাস। পরীক্ষা নেওয়ার সময় পেলে যে পর্যন্ত পড়িয়েছি সেটার মধ্যে স্কুলগুলো প্রশ্ন করে পরীক্ষা নেবে। তারপরে যদি না নেই তাহলে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
Discussion about this post