নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিবছর পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। এবার করোনা মহামারীর কারণে সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বৃত্তি দেওয়া হবে না। তবে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম আগের মতো চালু থাকবে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী বাতিলের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠানো হবে। বৃত্তিটা থাকবে না, উপবৃত্তি থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে যে বৃত্তি দেওয়া হয় সেটা এ বছর দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩৩ হাজার জনকে ট্যালেন্টপুল এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পায়।
আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হলেও ২০১০ সালে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে উপজেলাভিত্তিক মেধাবৃত্তি চালু করা হয়।
সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তি দিয়ে আসছে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ১৫০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
আর যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি খোলা হয়েছে সেসব বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ২০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয় সরকার। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ, স্কুলে আগ্রহী করে তোলা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বৃত্তি এবং উপবৃত্তি চালু করে সরকার।
Discussion about this post