বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় কবি নজরুল’ শীর্ষক বই প্রকাশ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা জানান।
ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বিশিষ্ট নজরুল বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা ও সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিংশ শতকের শুরু থেকে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন পর্বে কবি নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঢাবির শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কবির এই সম্পৃক্ততা নিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় কবি নজরুল’ শীর্ষক একটি বই প্রকাশনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এই বইয়ের সম্পাদনার দায়িত্বে থাকবেন বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্য, অসাম্প্রদায়িক, মানবতা ও প্রেমের কবি কাজী নজরুলকে নানাভাবে ধারণ করতেন এবং সেকারণেই তিনি নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তাকে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যে রকম অল্পসময়ের মধ্যে অসাধারণ নেতৃত্ব ও সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে একটি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন তেমনিভাবে কাজী নজরুলও স্বল্প সময়ে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে তার সৃজনশীলতার অসাধারণ অবদান রেখেছেন যা বিশ্ব সাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।
জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে বলেন, বিশের দশকের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন পরিচালনায় ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ নামে এক অসাম্প্রদায়িক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের সম্মেলনে কবি নজরুলকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি এতে যোগ দেন এবং অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে মুসলিম সমাজের জাগরণ দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন।
Discussion about this post