নিউজ ডেস্ক
মেডিকেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কোভিডসংক্রান্ত তথ্য বেশি জানলেও তারা স্বাস্থ্যবিধি পালনের ক্ষেত্রে অনেকাংশে পিছিয়ে আছেন। দেশের মেডিকেলপড়ুয়া প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই স্বাস্থ্যবিধি পালন করেন না। সরকারের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার যৌথ এক গবেষণায় এই ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের মেডিকেল কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ৬৯ দশমিক ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যবিধি পালন করেন না। অবশ্য এই শিক্ষার্থীরা বিষয়টি না জেনে স্বাস্থ্যবিধি মানেন না, এমনটি না। দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের তুলনায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের জ্ঞান ভালো থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি পালনে পিছিয়ে এসব শিক্ষার্থী। মেডিকেলে পড়েন না এমন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা আরও বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজপড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীর প্রায় ৮০ শতাংশই স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি অনুশীলন করেন না।
গবেষণার তথ্য বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যবিধি পালন করেন না। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে মেডিকেলপড়ুয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় কোভিডসংক্রান্ত জ্ঞানও কম বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনের উলেস্নখ করা হয়েছে, যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়টিতে ঘাটতি রয়েছে, সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে তাদের মধ্যে এই সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।
অনলাইনে সংযোজিত প্রশ্নের মাধ্যমে করা এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত ৩৯৯ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে মেডিকেলের ১৫২ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছিলেন ২৪৭ জন। এ শিক্ষার্থীদের মেডিকেলপড়ুয়া ১৪৯ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ২৫০ জন স্বপ্রণোদিতভাবে তাদের তথ্য প্রদান করে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ২৯ দশমিক ১ শতাংশ মনে করেন হ্যান্ড স্যানিটাইজারই হাত জীবাণুমুক্ত করার একমাত্র উপায়। ৫৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মনে করেন মৃদু সংক্রমণ দেখা দিলে ১৪ দিন ঘরে থাকলে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী তিন ফুট দূরত্বে বিষয়টি নিয়ে সঠিকভাবে তথ্য দিতে পারেননি বলে গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সিডিসি অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী জানান, এই গবেষণাটি ছাড়াও জনসাধারণ, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এমন প্রতিনিধিদের মধ্যেও আরও দুটি গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেশব্যাপী ১ হাজার ৫৪৯ জনগোষ্ঠী এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এমন ৬০৪ জন অংশগ্রহণ করেন। গবেষণাগুলো মার্চ থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে।
Discussion about this post