নিজস্ব প্রতিবেদক
চলমান পরীক্ষা পদ্ধতি এবং শিক্ষা কারিকুলামের আমূল পরিবর্তন চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেছেন, করোনাকালে পরীক্ষা ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তা সাময়িক। কিন্তু এখান থেকে শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই আছে।
শিক্ষাব্যবস্থা ও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘করোনাকাল আমাদের বহুবার্তা দিচ্ছে। প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে যেমন ভাবতে হচ্ছে, তেমনি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতি দিয়ে শিক্ষার পরিবর্তন সম্ভব নয়। করোনাকাল একটি বিশেষ পরিস্থিতি বটে। কিন্তু আমরা বিশেষ পরিস্থিতির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। যে কারণে ঠেকতে হলো। সনাতন পদ্ধতি পরিহার করার সময় এসেছে।’
পরীক্ষায় কৃচ্ছ্রসাধন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে আসছি বহুকাল থেকে। এতসংখ্যক পরীক্ষা উন্নত বিশ্বে দেখতে পাবেন না। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে পা দিয়েই পরীক্ষার বাঁধনে আটকে যায়। প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা দরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম পর্যন্ত শ্রেণি পর্যন্ত করা হচ্ছে। এটি ভালো উদ্যোগ। অন্তত কিছু পরীক্ষা কমছে।’
এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শিক্ষার কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। কারিকুলাম সংক্ষিপ্ত এবং বাস্তবমুখী করতে হবে। মূল্যায়নের জায়গাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। নইলে আমরা যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারব না। প্রযুক্তিনির্ভর সমস্ত কিছু। আমরা শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির গাঁথুনি দিতে না পারলে আরও পিছিয়ে যাব। শ্রেণিকক্ষে বসে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেও পরীক্ষা দিতে পারবে, যদি আমরা বাস্তবমুখী এবং প্রায়োগিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারি।’
Discussion about this post