নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ-অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘করোনার মধ্যে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে’।
জানা যায়, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব বিভাগ-অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে স্বল্প সংখ্যক পরীক্ষা নেওয়া বাকি আছে, তাতে অবশিষ্ট পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে সেই সভায় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, সাত কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বুধবারের সভায় কোন আলোচনা হয়নি। এখানে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাত কলেজের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাত কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, আসলে কিছু বিভাগের শিক্ষার্থী ভাইভার জন্যে আটকে আছে। তাদের ভাইভা হয়ে গেলে যেকোনো সময় রেজাল্ট পেতে পারে। আমরা এ বিষয়ে অবগত আছি। তাদের আটকে রেখে তো আমাদের কোন লাভ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে; তারা যথেষ্ট আন্তরিক। তারা বলেছে, শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা নিয়ে আমাদের লিখিত আবেদন দিতে। পরে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খুব শিগগিরই লিখিতভাবে আমরা তাদের কাছে আবেদন জমা দেবো।
ঢাবির ব্যবসায় অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সাত কলেজের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের সব কাজেই স্থবিরতা চলে এসেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় এর প্রভাবটা তুলনামূলক বেশি। এটাকে কিছুটা কাটিয়ে উঠতে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার মধ্যেও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সাত কলেজ শিক্ষার্থীদেরও কিছু কিছু বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয়ে করোনার কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু বিভাগে ভাইভা বাকি আছে, যার কারণে তারা রেজাল্ট পাচ্ছে না। আমরা এসব বিষয়ে অবগত আছি। পর্যায়ক্রমে ঢাবির সঙ্গে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আমরা কাজ করছি।
Discussion about this post