নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাস নিচ্ছে প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে স্মার্টফোন না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কথা বিবেচনা করে স্মার্টফোন কিনে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সেজন্য মোবাইল কিনতে ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি। যা চলতি মাসের মধ্যেই দেয়া হতে পারে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলে আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করতে পারব। তবে সবছিুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।
জানা গেছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা তৈরি করে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠিয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই তালিকা ইউজিসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকা লাগবে। যা নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হতে পারে।
সূত্র মতে, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত লোন পরিশোধের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা করে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা পাঠিয়েছে। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই আমরা সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে আমরা লোনের ব্যবস্থা করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করে দিবো, সেটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ থাকাকালীন লোন পরিশোধের সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থীরা লোন পরিশোধ না করলে সার্টিফিকেট পাবেন না বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post