নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্বাচলে ৫২ একর জমির উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। সেখানে সিঙ্গাপুরের আদলে একটি মেডিক্যাল সেন্টার নির্মানের পরিকল্পনার রয়েছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) লন্ডন সময় দুপুর ২টায় ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও সংকট’ শীর্ষক গ্লোবাল ওয়েবিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাইদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারকে প্রতিদ্বন্দী না ভেবে সরকারকে সহযোগী মনে করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকার সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। জ্ঞান অর্জন ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য স্বায়ত্তশাসন থাকবে। জ্ঞানের ক্ষেত্রে ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য স্বায়ত্তশাসন, তবে সরকারের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপটা যেন অবৈধ ও অন্যায্য না হয়।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগ আসলেও স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার কারণে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারে না।
সভাপতির ব্ক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, বিদেশে অবস্থানরত এ্যালামনাইরা যেন তাদের মেধা ও দক্ষতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজে লাগাতে পারেন সেজন্য প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ প্রফেসর পদ সৃষ্টি করে তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে। এ ধরনের কোলাবোরেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন উপচার্য।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বদেব চৌধুরী, ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নীলিমা আক্তার, কমিউনিকেশন্স ও ডিসঅর্ডার বিভাগের চেয়ারপার্সন শান্তা তাওহিদা প্রমুখ।
Discussion about this post