নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার জন্য একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, যাতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয়গুলো খুলতে অসুবিধা না হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আজ বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পুনরায় চালুর আগে অনুমোদিত নির্দেশিকার আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা স্কুলপর্যায়ে প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জারি করা এ নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রণালয়ের সব পদক্ষেপ পোস্টার ও লিফলেট আকারে তৈরি করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।’
এর আগে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। করোনায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, বিদ্যালয়গুলোকে সে বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে ও ছুটির দিনে ক্লাস নিয়ে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল খোলা না গেলে প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে অক্টোবর ও নভেম্বরে স্কুল খোলা যেতে পারে, সেই প্রস্তুতি নিয়ে দুটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যে মাসে স্কুল খোলা যাবে, সেই সিলেবাস পড়িয়ে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উন্নীত করা হবে। স্কুল খোলা না গেলে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।
আকরাম আল হোসেন আরো বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেসব স্কুলের আশপাশে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে, সেসব স্কুলে ভর্তি করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যে যেখানে ভর্তি হতে চাইবে, তাকে সেখানে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে।’
Discussion about this post