নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলেও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে জিপিএ বা গ্রেড পয়েন্ট ছাড়াই শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাস উন্নীত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে বিদ্যালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরবর্তীতে ২ সেপ্টেম্বরের জারি করা ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা না নিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের যথাসময়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।
তবে কী উপায়ে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে সে বিষয়ে স্কুলগুলোকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘চলতি বছর জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভর্তি থেকে কাউকে বাদ না দিয়ে সকলকে এ সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।’
‘তবে এসব শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট দেয়া হবে কি-না, বা সার্টিফিকেট দিলে জিপিএ বা গ্রেড পয়েন্ট থাকবে কি-না, সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হবে তা বাস্তবায়ন করা হবে’, বলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীদের পাসের সার্টিফিকেট দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে জিপিএ বা গ্রেড পয়েন্ট ছাড়া সকলকে পাসের সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এসব সাটিফিকেট শিক্ষা বোর্ড থেকে স্ব স্ব স্কুলে পাঠানো হবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
Discussion about this post