নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শুরু হয়। আর নির্দেশনা অমান্য করার পর মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) মাদরাসাটিকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে মাদরাসাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে জারি করা আদেশটি স্থগিত করা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী মারা যান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে রোববার থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। ২০ সেপ্টেম্বর সকালে পরীক্ষা শুরু হলেও সেদিনই মাদরাসায় পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনের শর্তে মাদরাসাটিকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হল। একই সাথে ১৭ সেপ্টেম্বর জারি করা আদেশেটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হল।
ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, মাদরাসার সদ্য প্রতায় মহাপরিচালক আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে মাদরাসার প্রশাসনিক তদারকিতে অক্ষম হয়ে পড়ছিলেন। অসুস্থ শফী দাপ্তরিক কাজে ছোট ছেলে আনাস মাদানীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই সুযোগে আনাস মাদানী হেফাজতে ইসলাম ও হাটহাজারী মাদরাসায় নিজের বলয় বাড়াতে তৎপরতা শুরু করেন। এসব অভিযোগ তুলে
জানা গেছে, শফীর প্রেস সচিব মুনির আহমদকে কোনো নোটিশ ছাড়াই দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকেই আনাস মাদানীর প্রভাব,মাদরাসার ভেতরে প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয়গুলো আলোচনায় আসে। আনাস মাদানীর প্রভাবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কমপক্ষে ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বিনা কারণে মৌখিক নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর আনাস মাদানীকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে হাজারও শিক্ষার্থী।
Discussion about this post