নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আর্জি দেবে এনটিআরসিএ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ অফিসে বসে সংবাদমাধ্যমে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাতকারে এসব কথা জানান এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আকরাম হোসেন।
তিনি বলেন, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একক নিয়োগের দাবিতে আদালতে রিট করেছিল। আমরা সেই রিটের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সেখানে ১৩তম নিবন্ধনধারীদের পক্ষে রায় দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ১-১২তম এবং ১৪ ও ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বঞ্চিত হবেন।
আকরাম হোসেন বলেন, এর আগে হাইকোর্ট মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলেছিল। আমরা এই দুইটি রায় একত্রিত করে আমাদের অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে একটি আর্জি দেব। আদালত থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা পাওয়ার পরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু হবে। এ সময় আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতে আর্জি দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
তথ্যমতে, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর পর আর কোনো শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় ১-১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক চাকরি প্রত্যাশীর বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিবন্ধনধারীরা।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান বলেন, নিবন্ধারীদের অনেকেরই বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি আমরা জানি। তবে বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চাইলেও নিবন্ধনধারীদের রিটের কারণে সেটি হয়ে ওঠে না। আমরা যদি এখন শুধু ১৩তম দের নিয়োগ দেই তাহলে অন্যরা আবার আদালতে রিট করবে। ফলে আবারো পুরো প্রক্রিয়া থমকে যাবে। আমরা সবকিছু বিবেচনা করেই কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, ১৩ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একক নিয়োগের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন। সেটি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে এনটিআরসিএ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সুপ্রিমকোর্ট রায়ের উপর কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। তবে করোনাকালে আদালত বন্ধ থাকায় পর্যবেক্ষণের কপি পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় এনটিআরসিএর। তবে ১৩তম দের পক্ষে রায় দেয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে এনটিআরসিএ।
Discussion about this post