নিউজ ডেস্ক
সরকারি চাকরি পেতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডোপ টেস্টেরও মুখোমুখি হতে হবে চাকরিপ্রার্থী ও ভর্তিচ্ছুদের। চাকরির আগে এবং চাকরিতে যোগ দেয়ার পর তাদেরকে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। একইভাবে ভর্তিচ্ছুদেরও ডোপ টেস্ট করাতে হবে। নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে মাদকাসক্তরা চাকরি করতে পারবেন না বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের ডোপ টেস্ট করতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) আদলে পৃথক ইনস্টিটিউট গঠনের চিন্তা করছে সরকার। সেখানে সরকারি চাকরিপ্রার্থী ছাড়াও বেসরকারি চাকরিপ্রার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুদের ডোপ টেস্ট করানো হবে।
সূত্র জানায়, ‘মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ ডোপ টেস্ট প্রবর্তন (প্রথম) পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পও বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশনে এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের ১৯ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, নোয়াখালী, পাবনা, বগুড়া, সিলেট, ফরিদপুর, যশোর, কুমিল্লা, রাঙামাটি, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, দিনাজপুর ও রংপুর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডোপ টেস্ট কার্যক্রম জোরদার করতে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দিলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।
নতুন ইনস্টিটিউট সন্দেহভাজন কাউকে টেস্ট করিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাও নিতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু এ বিষয়ে বলেন, ‘মাদক নির্মূলে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে একটি ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, মাদক শনাক্তের ভয় থাকলে মাদক থেকে দূরে থাকবে সবাই। সেজন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম জোরদারে এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবে মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Discussion about this post