নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে চলতি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।। পরীক্ষার্থীদের বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার ফল গড় করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের এই ফল প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জেএসসি-এসএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফল গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির গ্রেড দেয়ার কথা। তবে এই গড় প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একজন পরীক্ষার্থী যদি জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ পায় তাহলে তার গড় জিপিএ আসে ৪.৫। অর্থাৎ ওই পরীক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার গ্রেড হবার কথা জিপিএ-৪.৫। তবে এভাবে গড় করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে না। বুধবার (৭ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফল গড় করেই এইচএসসির গ্রেড দিবো। তবে এটি স্বাভাবিক যে গড়ের হিসেব করা হয় সেভাবে করা হবে না। এর মধ্যে আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো। সিদ্ধান্ত হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মান সমান নয়। আর এ কারণেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের মান সমান ধরা হবে না। গ্রেড তৈরির ক্ষেত্রে জেএসসি থেকে কতটুকু ধরা হবে এবং এসএসসি পরীক্ষার গ্রেড থেকে কতটুকু নেয়া হবে- সেটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই করা হবে। তাছাড়া অন্যান্য অনেক বিষয়ও রয়েছে। সবমিলিয়ে এই গড় স্বাভাবিক যে গড়ের হিসেব করা হয়; সেই গড় নয়।
ওই সূত্রটির দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও এসএসসি-এইচএসসির গ্রেড পয়েন্টের মানও সমানভাবে ধরা হয়। শিক্ষার্থীদের বিগত পরীক্ষার ফলাফলের জন্য ৮০ নম্বর বরাদ্দ রাখা হলেও এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের জন্য থাকে ৩০ নম্বর এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫০ নম্বর।
Discussion about this post