নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জটিলতা নিরসনে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেয়া হবে এবং পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত গ্রেড কীভাবে ভর্তি পরীক্ষার সময় মূল্যায়ন করা হবে ভিসিদের এই কমিটি সেটি নিয়ে কাজ করবে বলেও জানা যায়।
তবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত জানার পর শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা বেশি দুশ্চিন্তায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে। শুধু ভর্তিই নয়; ভবিষ্যতে চাকরির পরীক্ষা ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। তবে সরকার যেহেতু এত বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এর সমাধানও তাদের কাছে আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অনেকেই পরীক্ষা বাতিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভর্তি পরীক্ষার কী হবে, ভর্তিতে সমস্যা হবে কিনা, চাকরিতে প্রবেশে সমস্যা হবে কিনা, বিদেশে পড়তে গেলে সমস্যা হবে কিনা, এই ধরনের প্রশ্ন এখন সবার মনে। তবে আমি মনে করি, উদ্বেগ প্রশমনের ব্যবস্থাও সরকারের কাছে আছে। পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে ভিসিদের নিয়ে গঠিত কমিটিতে। এটা ইতিবাচক। তারাই এখানে ভর্তি সংক্রান্ত সমাধান রাখতে পারবেন।
এদিকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থীই দেশের বাইরে পড়তে যান। তাদের সমস্য সমাধানে কোন বক্তব্য না আসায় তারাও রয়েছেন বিপাকে। তবে বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদেরও চিন্তার খুব একটা কারণ নেই বেলে জানান সাবেক এই উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীই এইচএসসি পরীক্ষার পর বিদেশে পড়তে যান। তাদেরও চিন্তার কিছু নেই। কেননা পৃথিবীর সর্বত্র একই অবস্থা। ইতোমধ্যে গত জুনে ‘এ’ লেভেল (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষার ফল একই প্রক্রিয়ায় হয়েছে। তাই এ বিষয়টি বিশ্বের কাছে একমাত্র দৃষ্টান্ত নয়। অন্যান্য দেশও তাই করেছে। তাছাড়া বিদেশে কেউ পড়তে যেতে চাইলে তাকে আইইএলটিএস, স্যাট, জিআরই, টোফেল ইত্যাদি পরীক্ষা দিতে হবে। সুতরাং মূল্যায়ন ছাড়া কেউ থাকবে না।
Discussion about this post