নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৬ বছরে পা দিলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৬২ বছরে পদার্পণ করলো জগন্নাথ। ২০ অক্টোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) উদ্বোধন করা হবে জবির প্রথম ছাত্রী হল।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের উদ্বোধন।
দিনব্যপী কর্মসূচি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হবে। ৯টা ১৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগ।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল উদ্বোধন
এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উদ্বোধন করা হচ্ছে জবির প্রথম ছাত্রীহল। ১৬তলা বিশিষ্ট ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীহল’। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই হলের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
যেমন ছিল যাত্রা
১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল নামে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৮৭২ সালে নাম বদলে বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী তার বাবার নামে জগন্নাথ স্কুল নামকরণ করেন। ১৮৮৪ সালে এটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজে ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজের রূপ পায়।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা শুরু হলে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের স্নাতক, মাস্টার্স বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ইন্টারমেডিয়েট কলেজে অবনমিত করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে আবার কলেজটিতে স্নাতক পাঠ্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে এটিকে সরকারিকরণ করা হয়, কিন্তু পরের বছরেই আবার এটি বেসরকারি মর্যাদা লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ এবং ২টি ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে ২২,০০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূল অ্যাকাডেমিক পরিবেশ (শ্রেণীকক্ষের সংকট, শিক্ষকদের বসার স্থানাভাব) না থাকা স্বত্বেও শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং দায়িত্বশীলতার কারণে বিজ্ঞান অনুষদের হাতেগোনা কয়েকটা বিভাগ ছাড়া বাণিজ্য, কলা ও মানবিক অনুষদের অধিকাংশ বিভাগগুলো সেশনজট মুক্ত রয়েছে।
Discussion about this post