অনলাইন ডেস্ক
‘যত্রতত্র অনার্স মাস্টার্স চালুর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একসময় বেকার তৈরি করার কারখানায় পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু ব্যবহারিক ও জীবনমুখী পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।’
গতকাল রাতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিব চর্চা’র অংশ হিসেবে জাতির পিতার শিক্ষা ভাবনা শীর্ষক অনলাইন আলোচনাসভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ভাবনাকে আমরা ধারণ করতে পারিনি। আমরা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা মনোনিবেশ করেছিলাম। যত্রতত্র অনার্স মাস্টার্স চালুর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একসময় বেকার তৈরি করার কারখানায় পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু ব্যবহারিক ও জীবনমুখী পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, বিভিন্ন বক্তৃতার মাধ্যমে কৃষি ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ব্রিটিশরা বিএ, এমএ পাস করিয়ে আমাদের কেরানি বানিয়ে দিয়ে গেছে। তোমরা জমিতে গিয়ে শেখ কিভাবে ফসল ফলাতে হয়।
মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় আরো যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
উপমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে চর্চা করা উচিত ছিল। কিন্তু বিগত সরকারসমূহ ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত মুঁছে ফেলার চেষ্টা করেছে। ৭ই মার্চের ভাষণকে মানব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে, অথচ একসময় সে ভাষণ পর্যন্ত শুনতে দেওয়া হতো না।’
Discussion about this post