বিশেষ প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত হাল্ট প্রাইজ কে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজনেস কম্পিটিশন। এর আয়োজক হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন এবং যৌথভাবে যার সাথে যুক্ত রয়েছে জাতিসংঘ ও বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশন। প্রতিবছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আহ্বানে বহু শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই প্রতিযোগিতায়। বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় বাংলাদেশি মূল্যে সাড়ে ৮ কোটি টাকা বা, $1Million.
এই প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগিকে পার হতে হয় ৪টি ধাপ। যার প্রথম ধাপ ক্যম্পাস রাউন্ড। এই ক্যম্পাস রাউন্ড থেকেই বিজয়ী একটি দল প্রাথমিক ভাবে পরবর্তী রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
এরই ধারাবাহিকতায় শেকৃবি অন ক্যম্পাস এর ১ম ধাপ এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে টিম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এবছর শেকৃবিতে ৩৫টি টিম রেজিস্ট্রেশন করেছে।
হাল্ট প্রাইজের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) হাল্ট প্রাইজ অন-ক্যাম্পাস রাউন্ডের প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্যে টিম রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে ১ম রাউন্ডের আগামী ১৩ নভেম্বর ১ম রাউন্ড এর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।
ক্যম্পাস প্রোগ্রাম সফল করার উদ্দেশ্য কার্যকরী কমিটি আগামী দিনের কার্যকলাপ নির্ধারিত করেছে ও অংশগ্রহণকারী টিমগুলোর জন্য ট্রেইনিং সেশন আয়োজন করছে।
শেকৃবি অন ক্যম্পাস প্রোগ্রাম সফল করার জন্য প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে “দৈনিক ইত্তেফাক”। এছাড়াও সফট স্কিল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে “Smartifier” স্ট্র্যটেজিক পার্টনার হিসেবে “EMK Center” ই-লার্নিং পার্টনার হিসেবে “Bohubrihi” এবং গুড ফুড পার্টনার হিসেবে রয়েছে “Greeniculture”। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ক্লাব যুক্ত হয়েছে ক্লাব পারটনার হিসেবে।
এ বিষয়ে ক্যম্পাস ডিরেক্টর রিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘এই করোনাকালীন সময় আমাদের নতুনকে সাদরে আলিঙ্গন করতে শিখিয়েছে এবং আমাদেরকে শিকরের গুরুত্ব বুজিয়েছে।আমরা যতোটা আধুনিকতার চাদরে মানিয়ে নিয়েছি ঠিক ততোটাই নিজেদের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে ফেলেছি মাত্রা-তিরিক্ত বাজে খাদ্যের জোগান ও খাদ্যাভাসের জন্য। এই সমস্যাকে দূরীভূত করার জন্যই হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন এবারের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ফুডকে বেছে নিয়েছে।”ফুড ফর গুড” -প্রতিপাদ্য বিষয়ে এক্সিস্টিং ফুড সাপ্লাই চেইনের সমস্যা, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৩০ এর মধ্যে নতুন ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির উদ্দেশ্য পৃথিবীর নানা প্রান্তের ১৩০ টির অধিক দেশের ২১০০+ ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা তাদের আইডিয়া নিয়ে হাজির হচ্ছে। টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের শিক্ষার্থীরা বরাবরই প্র্যাক্টিক্যাল নলেজ সম্পন্ন জ্ঞানচর্চায় যুক্ত থাকে। তাই ফুড, পরিবেশ, সাধারণ মানুষ, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য এধরণের আইডিয়া জেনারেশন কম্পিটিশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে দারুণ সাড়া পড়েছে ও এজন্য ২০ সদস্যের অর্গানাইজিং কমিটি দারুণভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
Discussion about this post