নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় সাত মাস বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ছুটি। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী বছরের জন্য শিক্ষার্থী কীভাবে ভর্তি করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
জানা গেছে, ঢাকা ৩৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটির আলাদা তিনটি শাখা আছে। অনেক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তরেও ভর্তি করানোয় এতে অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি। এসব বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন রয়েছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। প্রতিবছর নভেম্বরে পদ্ধতি ঠিক করে ডিসেম্বরে আবেদন শুরু হয়। এরপর পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরে ভর্তির কাজ শেষ করা হয়। তবে এবার করোনার কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমানে স্কুলগুলোয় প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় লটারির মাধ্যমে। তবে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হয়। আর নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় জেএসসি ও জেডিসির ফলের ভিত্তিতে। তবে করোনার কারণে এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। ফলে এবার বিকল্প উপায়ে ভর্তি করা হবে। এ অবস্থায় মাউশি দুই প্রস্তাব দিয়েছে।
সূত্র জানায়, মাউশির শিক্ষার্থী ভর্তির প্রথম প্রস্তাবে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঝুকি নিয়ে সরাসরি পরীক্ষা বসতে হবে না। অপর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব বিদ্যালয়ে ৯ দিনে পরীক্ষা নেওয়া। এতে বিদ্যালয়গুলোকে মোট ৩৮টি পরীক্ষা দিতে হবে। আগে স্বাভাবিক সময়ে এ ভর্তি পরীক্ষা হতো তিন দিনে। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে বা এমসিকিউ নিয়মে পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে মাউশির উপপরিচালক মো. এনামুল হক হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন তারা ঠিক করবে, কীভাবে ভর্তি হবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভর্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে। এখন মাউশির প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে।
Discussion about this post