বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
করোনাকালীন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে স্মার্টফোন কিনতে অসামর্থ্য-আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) থেকে স্মার্টফোন কিনতে অসামর্থ্য-আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা ইউজিসিতে প্রেরণ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইউজিসির শিক্ষাঋণ পাচ্ছেন হাবিপ্রবি’র ১ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে সফট লোনের জন্য ইউজিসিকে আমরা একটা তালিকা পাঠিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষার্থীকে সফটলোন প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। কিভাবে এই ঋণ শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে সে বিষয়ে ইউজিসি থেকে একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। এতে সফট লোন প্রদানের জন্য খুব শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে।
সফটলোনের বিষয়ে ইউজিসি প্রেরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে,‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের যে তালিকা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে, তাদেরকে ঋণের বিষয়টি যথাযথভাবে অবিহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কমিশনে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কি-না তা পুনরায় যাচাই করে দেখতে হবে ও কমিটির সুপারিশের আলোকে ৮ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ এর মধ্যে দিতে হবে।’
নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত এই ঋণ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এবং স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচারটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ১০ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২১ এর মধ্যে সফটলোন অনুমোদন কমিটি’র সদস্য-সচিবের নিকট জমা দিতে হবে।
এছাড়া, ইউজিসির নীতিমালা সম্বলিত নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খালার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধে করিতে হইবে এবং ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোন ট্রান্সক্রিস্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।’
Discussion about this post