চবি প্রতিনিধি
করোনা মহামারীর কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আবারও ভয়াবহ সেশনজটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে অনলাইনে ক্লাস নিলেও তাতে সংকটের সমাধান হচ্ছে না। আবার চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো আটকে যাওয়াই চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদনও করতে পারছেন না। এতে করে মানসিকভাবে দুর্বল ও অনিশ্চিয়তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, এক সময়ে সেশনজটের ভয়ে অনেকেই চবিতে ভর্তি হতে দ্বিধাবোধ করতেন। পরে নানাবিধ পরিকল্পনার ফলে ২০১৭ থেকে সেশনজট কমতে থাকে। এরপর একের পর এক বিভাগ সেশন মুক্ত হয়। তৎকালিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দেয় সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে।
জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ছুটির কারণে সব বিভাগে ছয় মাস থেকে প্রায় এক বছর পর্যন্ত সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পরীক্ষায় আটকে যাওয়াতে বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করতে পারছেন না তারা। সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চূড়ান্ত পরীক্ষায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা, জগন্নাথ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চবিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্তত আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার কারণে আটকে থাকা পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করতে উপাচার্যকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এসময় আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে। বিভাগীয় সভাপতিরা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সুবিধামতো সময়ে পরীক্ষার রুটিন দিবেন।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সশরীরেই হবে। এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এইচএসসির রেজাল্ট দিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।
আর অনলাইন ক্লাস চলছে। কোর্সগুলোও শেষ করা হচ্ছে। ক্যাম্পাস খুললে সব বিভাগে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।’
Discussion about this post