নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উর্ত্তীণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চলতি মাসের শুরু থেকে দেশের সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে।
এই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, অ্যাসাইনমেন্টের সঙ্গে স্কুলের বেতন বা অন্যান্য ফির কোনো সম্পর্ক নেই। একইসঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট আটকে বেতনের টাকা আদায় না করতে স্কুলগুলোর প্রতি আহবান জানান তিনি। রবিবার (১৫ নভেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্কুলের উচিত শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া। তবে অনেক স্কুল ভাবতে পারে এই সুযোগে বেতন তুলে নিতে পারবে। যদি এমনটি কেউ চিন্তা করে তা ঠিক হবে না। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উচিৎ বেতন পরিশোধ করা। অন্যথায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাবে। আর স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেলে তখন শিক্ষার্থীরা অনেক বড় বিপদে পড়বে। অভিভাবকরা যেন স্কুলের বেতন পরিশোধ করে দেয়।
তিনি বলেন, যাদের আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে পরে (বেতন) দেবার কথা বা কমিয়ে নেয়ার বা মওকুফ করার কথা আলোচনা করতে পারেন। অন্যদের যতটুকু সম্ভব বা যতটা সামর্থ্য আছে তারা যেন বেতন পরিশোধ করে দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল যেন অ্যাসাইনমেন্ট আটকিয়ে না রাখে, তারপরও যদি আটকিয়ে রাখে সেক্ষেত্রে অনলাইন থেকে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যেন স্কুলে জমা দেয়। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ না করলে শিক্ষার্থীরা যেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অ্যাসাইনমেন্টর জন্য আলাদা করে ফি নেয়ার কোন কথা নেই। কেউ যদি অ্যাসাইনমেন্টর জন্য আলাদা করে ফি চায় তাহলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্যায় করছে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে জানায় তাহলে আমরা সেইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিছু ফি যা আব্যশিক নয় সে ফি না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। তারপরেও যদি ফি চাওয়া হয় তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত বা অনলাইনে অভিযোগ করতে হবে।
Discussion about this post