নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘদিন আটকে আছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ ব্যাচের ‘অনার্স ফাইনাল’ পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এই আন্দোলনের মুখে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সভায় নতুন নিয়মে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ‘পরীক্ষা প্রস্তাবনা কমিটি ও ডিন কমিটি আজকের একাডেমিক সভায় যাদের ৪র্থ বর্ষের অথবা ৮ম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা আটকে আছে তাদের পরীক্ষার বিষয়ে একটা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন।’
প্রস্তাবনাটি হলো- পূর্বের নিয়মে ক্লাস উপস্থিতি ও টিউটোরিয়াল মার্ক থেকে ৩০ নম্বর, অনলাইনে ২০ নম্বরের ভাইবা নেয়া হবে। এছাড়া পূর্ববর্তী বর্ষ/সেমিষ্টার পর্যন্ত প্রাপ্ত জিপিএ হতে ৫০ নম্বার। যা ৩য় বর্ষ/৭ম সেমিষ্টার পর্যন্ত প্রাপ্ত জিপিএ কে নম্বরে রূপান্তর করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে। এভাবে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাবনা একাডেমিক সভায় পাশ হয়েছে।
এছাড়া যাদের ৪র্থ বর্ষের কিংবা ৮ম সেমিষ্টারের কিছু কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট নম্বরের একটি অংশ ৪র্থ বর্ষের অথবা ৮ম সেমিষ্টারের সম্পন্ন হওয়া কোর্সের প্রাপ্ত জিপিএকে নম্বরে রূপান্তর করে এবং অবশিষ্ট অংশ ৩য় বর্ষ/ ৭ম সেমিষ্টার পর্যন্ত প্রাপ্ত জিপিএকে নম্বরে রূপান্তর করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
কত অংশ ৪র্থ বর্ষের অথবা ৮ম সেমিষ্টারে সম্পন্ন হওয়া কোর্সের প্রাপ্ত জিপিএ থেকে এবং কত অংশ পূর্ববর্তী বর্ষ/ সেমিষ্টার পর্যন্ত প্রাপ্ত জিপিএ হতে নেয়া হবে, তা নির্ধারন করা যেতে পারে ৪র্থ বর্ষের ৪র্থ বর্ষের অথবা ৮ম সেমিষ্টারের মোট কোর্সের মধ্যে চূড়ান্ত মূল্যায়ন সম্পন্ন হওয়া কোর্সের শতকরা হারের উপর ভিত্তি করে।
এদিকে এসব প্রস্তাবনা যদি কিছু পরিবর্তন পরিমার্জন করা লাগে তাহলে তা পরীক্ষা প্রস্তাবনা কমিটি ও ডিন কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থার কথা বলা হয়। অন্যদিকে একাডেমিক সভা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে বলা হয়, পিএসসিকে অনুরোধ জানাতে, যাতে বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার পেছানো হয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম জানান, এই পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোন ফি নেয়া হবে না। যদিও কোন শিক্ষার্থী ফি দিয়ে থাকে তাহলে তার টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে।
Discussion about this post