ঢাবি প্রতিনিধি
পরাজয় নিশ্চিত জেনে দীর্ঘ সংগ্রামে স্বাধীন হতে যাওয়া দেশকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানিরা তালিকা তৈরি করে হত্যা করে বুদ্ধিজীবীদের। শহীদদের দীর্ঘ তালিকার বড় একটি অংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। ’
প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সব মহৎ অর্জনের আগে কিছু কলঙ্কজনক অধ্যায়ের নজির পাওয়া যায়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগে ২৫ মার্চ কালরাতে এদেশে গণহত্যা চালানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এ গণহত্যার কেন্দ্রবিন্দু। একইভাবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুও ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেদিন দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে যারা সহযোগিতা করেছিল, সেই উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিই আজ ভাস্কর্য ও সৃজনশীলতার বিরুদ্ধে কথা বলছে। এদের চরিত্র এবং উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। ’
সভায় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
Discussion about this post