নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলের দায়িত্বে থাকা প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা করোনার কারণে হলে থাকতে পারবেন না। শিক্ষকরা না থাকলে হলের নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব নয় জানিয়ে হল না খুলেই পরীক্ষার অনুমতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) অনুরোধ করা হয়েছে। যার ফলে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিলেও হল খোলার অনুমতি দেয়া হয়নি। ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ইউজিসিকে হল খোলা না রাখার কোনো অনুরোধ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন বৈঠকে উপস্থিত ‘উপাচার্য পরিষদে’র সদস্যরা।
ইউজিসি সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ ডিসেম্বর ইউজিসি’র সাথে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হল খোলা না রেখেই পরীক্ষা আয়োজনের কথা জানায়। উপাচার্যদের সাথে বৈঠক শেষে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয় ইউজিসি। তবে পরীক্ষা চলাকালীন হল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ইউজিসি’র এক সদস্য বলেন, মিটিংয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হল না খোলার কথা জানান। কারণ হিসেবে তারা জানান, হলের দায়িত্বে থাকা হল প্রভোস্টসহ অন্যান্য শিক্ষকরা করোনার কারণে আবাসিক হলে থাকতে পারবেন না। ফলে হলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তাই হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। পরীক্ষা নেয়া কিংবা হল খোলার বিষয়গুলো তাদের একাডেমিক কাউন্সিল ঠিক করে। এই বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে ‘উপাচার্য পরিষদে’র সদস্য ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আবাসিক হল খোলা রাখা না রাখার বিষয়ে ইউজিসিকে কোনো অনুরোধ করা হয়নি। বৈঠকে উপস্থিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যই আবাসিক হল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন। হল খোলা রাখা হবে কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয়। এখানে ইউজিসিকে বলার বা জানানোর কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, হল খোলা রাখা হলে কোনো শিক্ষার্থী যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তখন এটি পুরো হলেই ছড়িয়ে পড়বে। তখন এর দায়ভার কে নেবে? সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল খোলা রাখার কোনো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি।
Discussion about this post