নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুনভাবে সাজানো হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)।
এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত হলেও পুরো কাজ করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলীরা। এমন তথ্য জানিয়েছেন টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আলী আকবর।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে টিএসসি, শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরি ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে নতুন করে সাজানোর কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরপরই সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি সভা করেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলীরা। তখন কর্তৃপক্ষ টিএসসির সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য সুযোগ সুবিধা-সংবলিত বরাদ্দকৃত স্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আলী আকবর বলেন, সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মতে এ কাজ বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত হলেও এতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের প্রকৌশলীরা থাকবেন না। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুরো কাজ সম্পূর্ণ হবে।
প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে পিডব্লিউডি ঢাকা সার্কেল-১৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, টিএসসিসহ কয়েকটি স্থাপনা প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই গণপূর্ত মন্ত্রণালয় করবে। এ বিষয়ে গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা অবগত। টিএসসি ভেঙে নতুন করে সাজানো হবে বলেও জানান তিনি।
টিএসসিকে বলা হয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র।
এখানে সব শ্রেণির মানুষের মিলন ঘটে। তাই কীভাবে নতুনভাবে সাজানো হবে সে প্ল্যান সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্মোচন করার দাবি জানান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আর টিএসসির মতো একটি ঐতিহ্যবাহী স্থানের পরিকল্পনা কীভাবে করা হবে তা জানার অধিকার শিক্ষার্থীদের রয়েছে। টিএসসির বর্তমান যে অবকাঠামো তা একটি প্রাচীন স্থাপনা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই শিক্ষার্থীবান্ধব টিএসসি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
Discussion about this post