বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) শিক্ষাঋণের তালিকা প্রকাশ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী স্মার্টফোন কেনার জন্য ইউজিসির সুদবিহীন সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা শিক্ষাঋণ পাবে।
অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ জানান, শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে সফট লোনের জন্য ইউজিসিকে আমরা একটি তালিকা পাঠিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সফটলোন প্রদানের জন্য অনুমতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিভাবে এই ঋণ শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে সে বিষয়ে ইউজিসি থেকে একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। আমরা অনুষদ ভিত্তিক সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি।
শিক্ষা ঋণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, যেহেতু চার কিস্তিতে সফট লোনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেহেতু ইউজিসির নির্দেশনা শিক্ষার্থীরা পড়ার পর যদি কোনো শিক্ষার্থী লোন নিতে আগ্রহ না দেখায় তাহলে তাকে লোন দেয়া হবে না। এজন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে আমরা আজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি।
‘‘তবে লেভেল ৪ সেমিস্টার ২ এবং মাস্টার্সের শেষ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এ লোন দেয়া হবে না। এছাড়া নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী সফট লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। কেবলমাত্র যাদের নাম তালিকায় আছে শুধু তারা গুগল ফর্মে আবেদন করে এই লোন পাবে।’’
অধ্যাপক ইমরান পারভেজ বলেন, এই লোন পেতে গেলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ সব টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য আমার আহ্বান থাকবে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত আবেদন ফর্ম পূরণ করার আগে যেনো ইউজিসির চূড়ান্ত নীতিমালা ভালোভাবে পড়ে নেয়।
সফটলোনের বিষয়ে ইউজিসির নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের যে তালিকা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে, তাদেরকে ঋণের বিষয়টি যথাযথভাবে অবিহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কমিশনে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কিনা তা পুনরায় যাচাই করে দেখতে হবে ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৮ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ এর মধ্যে দিতে হবে।’
নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত এই ঋণ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এবং স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচারটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ১০ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২১-এর মধ্যে সফটলোন অনুমোদন কমিটি’র সদস্য সচিবের নিকট জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধে করতে হবে এবং ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোন ট্রান্সক্রিস্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।
Discussion about this post