শিক্ষার আলো ডেস্ক
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ তার জীবনের চলার পথে বাহন হিসাবে শিক্ষা ও মূল্যবোধকে গ্রহণ করে। আজকের শিশুকে আগামি দিনের আদর্শ জাতি গঠনের ভূমিকায় অবতীর্ণ করতে আমাদের বড়ই প্রয়োজনীয় আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে শিশুরা অবাধে নিজস্ব উৎর্কষ সাধনের সুযোগ পাবে। তারই মানসে ২০০৪ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভিক্টোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এই স্কুলের উদ্দেশ্য ছাত্র ছাত্রীদের সু–শৃঙ্খল, আত্মবিশ্বাসী ও সৎ নাগরিক হিসাবে গঠন করা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা এবং আমাদের সুপরিকল্পিত পরিচালনা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক দক্ষতার কারণে এই প্রতিষ্ঠান অল্প সময়ে অত্র এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে এবং সম্মানিত অভিবাবকদের নিকট আশাতীত সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমান প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও জে.এস.সি পরীক্ষার জন্য সরকারি অনুমোদন লাভ করেছে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর ছাত্র–ছাত্রীরা বৃত্তি লাভ করে থাকে। ছাত্র–ছাত্রীদের সুশিক্ষিত মানুষ গড়ার কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একদল অভিজ্ঞ শিক্ষক–শিক্ষিকা । আমাদের বিশ্বাস, এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই কেবল স্কুলটিকে পরিপূর্ণ সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং নগরীর অধিক মানসম্পন্ন স্কুলগুলোর প্রতিসম প্রতিষ্ঠান পরিণত করতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা স্কুলটির ভবিষ্যৎ গড়ার পথে অবদান রাখবে এই কামনায়।
– অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান
স্কুলের বিশেষত্ব
বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ন্যাশনাল কারিকুলাম এর টেক্সট বই সহ উন্নত মানের KG STANDARD বই সমূহ সিলেবাসে সংযোজন করা হয়েছে। আইপিএস এর সাহায্যে লোড শেডিং এর সময় সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। পাঠদান মূল্যায়নের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সাথে মত বিনিময় সভার ব্যবস্থা রয়েছে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ।
স্কুলের পরিচালনা পদ্ধতি
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি–অভিভাবক ও অভিজ্ঞ শিক্ষক–শিক্ষিকাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং পরিচালকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সরাসরি সমন্বয়ের মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পরিচালনা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই অত্র এলাকায় সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। স্কুলের প্রতিদিনের শ্রেণী কার্যক্রম, বাৎসরিক পাঠ্যক্রম, ছাত্র–ছাত্রীদের উপস্থিতি, শিক্ষক–শিক্ষিকাদের আন্তরিক শিক্ষা পদ্ধতি ও জবাবদিহিতা, ক্লাস মনিটরিং ইত্যাদি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রতি তিনমাস অন্তর প্রয়োজনীয় মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন স্কুল পরিচালনা কমিটি।
ক্লাস মনিটরিং :
প্রতিদিন ক্লাস মনিটরিং করার জন্য সম্মানিত অভিভাবক, পরিচালক ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি ক্লাস মনিটরিং সেল রয়েছে। এই মনিটরিং সেল এর সদস্যরা যে কোন সময় শ্রেণী কার্যক্রম পরির্দশন করতে পারবেন এবং প্রধান নির্বাহীর নিকট লিখিত রিপোর্ট প্রদান করবেন। কর্তৃপক্ষ লিখিত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করবেন।
শিক্ষণ পদ্ধতি :
পরিচালক ও অধ্যক্ষ বেবি বড়ুয়া শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে বলেন, প্লে- নার্সারীর বাচ্চাদের সাথে বন্ধুর মত মিশে গিয়ে তাদের পছন্দের নানা উপকরণ যেমন : ছবি,চার্ট,খেলনা ইত্যাদির মাধ্যমে অত্যন্ত সহজ এবং আকর্ষনীয়ভাবে পাঠ উপস্থাপন করা হয়। গান,কবিতা বা আবৃত্তির মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপন করলে শিশুরা সহজে বুঝতে পারে তাদের পাঠ্য বিষয় । জটিল বিষয়গুলো বুঝতে চার্ট, মানচিত্র, ছবিসহ যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করা হয়। ক্লাস ওয়ার্ক দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের, গ্রুপ ডিসকাশন এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হয়। সপ্তাহে প্রথম ৫দিন শ্রেণী কক্ষে যা পড়ানো হয়, ষষ্ঠ দিনে তার উপর রিভিউ করা হয়।
এর পরও বুঝতে সমস্যা হলে শিক্ষকগণ এর সমাধান দেন। প্রতিটি ক্লাসে কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতি টার্মে এই বিষয়ের উপর ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। অপেক্ষাকৃত স্বল্প মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে এবং প্রতি মাসিক পরীক্ষার পর সমস্যা আছে এমন বিষয় গুলোর উপর বিশেষ কোচিং ক্লাস নেয়া হয়।
সৃজনশীল পদ্ধতি :
শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননকে সৃজনশীল করার লক্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব বিষয় (ইংরেজী ও বাংলা ২য় পত্র ব্যতীত) সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ শিক্ষক–শিক্ষিকা দ্বারা পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। লেখাপড়ার প্রতি ছাত্র–ছাত্রীদের অধিক আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরীক্ষা পদ্ধতিকে গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সমগ্র পাঠ্যসূচীকে মোট ৩টি সেমিস্টারে ভাগ করে প্রতিটি সেমিস্টার একটি করে সম্পূর্ণ বছরে মোট তিনটি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রতি পরীক্ষার আগে মূল বিষয়সমূহর উপর মাসিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এক সেমিস্টারের পড়া অন্য সেমিস্টারে পড়তে হয় না বলে ছাত্র–ছাত্রীদের অন্যান্য স্কুলের মত বার্ষিক পরীক্ষায় সমস্ত বই পড়ার বা মুখস্ত করার ঝামেলা থাকে না।
স্পোকেন ইংলিশ ও কম্পিউটার ল্যাব :
বর্তমান বিশ্বের যোগ্য করে গড়ে তুলতে ইংরেজী জানা ও কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। তাই আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত কম্পিউটার সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব ও দক্ষ শিক্ষকদের তত্বাবধানে SPOKEN ENGLISH কোর্স।
সহ–শিক্ষা কার্যাবলি :
শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে সাহিত্য ও সাংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য। তাই রয়েছে নির্র্দিষ্ট চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক। প্রতি সপ্তাহে কালচারাল ক্লাসে কবিতা, ছড়া, গান, সাধারণ জ্ঞান ও বিতর্ক চর্চায় লিপ্ত থাকে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানটির বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি ব্যবহারিক ছাত্রীদের রন্ধন শিল্পে পারদর্শিতা যাচাই করে নম্বর প্রদান উল্লেখযোগ্য। এছাড়া শিক্ষা সফর, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাতীয়দিবস সমূহ পালন করা হয় সাড়ম্বর আয়োজনে।
করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থাপনা
করোনাকালে শিক্ষা বিপর্যয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন সচল রাখতে ভিক্টোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করেছে।সরকার পরিচালিত সংসদ টিভির পাশাপাশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ফেসবুক এবং জুম এ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক পাঠদান করেছেন।ক্লাস শেষে রেকর্ডকৃত ভিডিও ক্লাস ডাউনলোড করে তা আবার দেখার সুযোগ শিক্ষার্থীদের পাঠ আত্মস্থ করতে ভীষণ সহায়ক হয়েছে।ছাত্রছাত্রীরা মাসিক পরীক্ষা, সাময়িক পরীক্ষাসহ নানা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এ্যাসাইনমেন্টও সম্পন্ন করেছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা।সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে আমাদের এই শিক্ষাসেবা।
বিস্তারিত জানতে- কসমোপলিটন আবাসিক এলাকা,নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম। ফোন : ০১৮২৫-২৮৭২৩৭, ০১৮৩৮- ২০৫৫৫৫
Discussion about this post