শিক্ষার আলো ডেস্ক
মানব শিশু হয়ে জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হয়ে বাঁচতে হলে সভ্যতার আলোয় আলোকিত হতে হয়। সভ্যতার আলো মানেই শিক্ষার আলো। একজন সচেতন কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন প্রথমেই। শিক্ষা হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে জানার পরিকল্পিত কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে একজন মানব শিশু ধীরে ধীরে আলোকিত মানুষে পরিণত হয়। তাই একটি অগ্রসরমান জাতির মূল চালিকা শক্তিই হলো শিক্ষা। তবে এই শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আনন্দ সহকারে উপস্থাপনের জন্য দরকার একটি সুপরিকল্পিত শিক্ষাকার্যক্রম। শিক্ষা একটি বুদ্ধিদীপ্ত মানব উন্নয়ন সেবা।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমে (ন্যাশনাল কারিকুলাম) পরিচালিত ‘সারমন স্কুল এন্ড কলেজ’ এর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে এই শিক্ষা সেবাকে জ্ঞানার্জনের মহত্তম ধারায় প্রতিষ্ঠা করা। মানব সম্পদ উন্নয়ন, বাস্তবমুখী শিক্ষা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে অগ্রণী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষা উদ্যোক্তা ও শিক্ষানুরাগী এডভোকেট ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী (এমএ,এমএড, এলএলএম, পিএইচডি) এবং সুদীর্ঘকাল শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ অধ্যক্ষ তৌহিদা করিম(এমএ,এমএড, এলএলএম)। সারমন স্কুল এন্ড কলেজ সম্মন্ধে জানতে চাইলে এর নানা বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন অধ্যক্ষ এডভোকেট তৌহিদা করিম।
শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ:
মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে দক্ষ শিক্ষক এর বিকল্প নেই। তাই বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত নিয়োগ বোর্ড এর মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর শ্রেণী উপযোগী আনন্দময় ও ফলপ্রসু পাঠ উপস্থাপনের জন্যে খ্যাতিমান প্রশিক্ষকের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদের নিয়মিত শিক্ষক–প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মানের শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রাক–প্রাথমিক শ্রেণিতে বা কিশোর শিক্ষার্থীদের জন্যে আমাদের এ বেসিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অত্যন্ত ফলপ্রসু।
শিক্ষক– শিক্ষিকা মন্ডলী
আমাদের রযেছে উচ্চ শিক্ষিত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষক– শিক্ষিকা মন্ডলী। এদের পরিচালনা করছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক অধ্যক্ষ ইসমত আরা বেগম(বি.এস.এস (অনার্স), এম.এস.এস.)। আর এসব জ্ঞান পিপাসুদের নিকট থেকে শিক্ষার্থীরা যে কোন সময় পেতে পারে সৃজনশীল শিক্ষা, জ্ঞান ও দিক নির্দেশনা। তাঁদের নিবিড় পরিচর্যা ও স্নেহের পরশে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠবে এদেশের আদর্শ নাগরিক হিসেবে।
আধুনিক কারিকুলাম
শিক্ষাকে অর্থবহ করার জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী কারিকুলাম যা শিক্ষার্থীকে প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার প্রেরণা যোগায়। এই কথাটিকে বিবেচনায় এনে ইংরেজিকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান পূর্বক সারমন স্কুল এন্ড কলেজ প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষানীতি ও কম্পিউটারের সমন্বয়ে আধুনিক মানসম্মত কারিকুলাম।
একাডেমিক ক্যালেন্ডার
প্লে হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বছরের শুরুতে শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত ছুটি এবং মাসিক ও সাময়িক পরীক্ষাসমূহ আরম্ভের তারিখ সম্বলিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি পরিচালিত হয়।
সমন্বিত পাঠদান
স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয় বিভিন্ন কার্যকর ও উপযুক্ত পদ্ধতি। জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর শিক্ষাবর্ষের পুরো বছরের সুনির্দিষ্ট একটি শিক্ষা পরিকল্পনার জন্য আমরা একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করি। যে কোন প্রতিকূলতার মাঝেও কঠোরভাবে এই ক্যালেন্ডার অনুসরণ করি আমরা। প্রতিটি ক্লাসে কি পড়ানো হবে তা পূর্ব থেকেই অধ্যয়ন এবং তা হতে লেসন প্ল্যান বা পাঠটিকা প্রস্তুত, শিশু শ্রেণীতে সময়ের যথাযথ ব্যবহার এবং পাঠদানে সুবিধার জন্য লক্ষ্যে দুজন শিক্ষক ক্লাস নিয়ে থাকেন। একজন ক্লাস ওয়ার্ক এবং হোম ওয়ার্ক মনিটরিং করেন এবং অপরজন পাঠদান করেন।
শ্রেণীতে দুর্বল ছাত্র–ছাত্রীদের পাঠের ঘাটতি দূর করার জন্য দিনের পড়া দিনে সম্পাদনের জন্য আমাদের রয়েছে রিফ্রেশমেন্ট ক্লাস। প্রতিটি (RC) ক্লাসে ঐ দিনের বিষয়গুলো পাঠের পুনরালোচনা, বাড়ির কাজ তৈরির দিকনির্দেশনা প্রদান ও পাঠ মূল্যায়ন পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করে পর্যালোচনা সভায় উত্থাপন করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
প্রাইমারী লেভেলে পাঠ্যবিষয় সংশ্লিষ্ট উপকরণ যেমন– পুতুল, গাছ, ফুল, ছবি ইত্যাদি ব্যবহার অপরিহার্য করণের ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রেণীর পাঠ্যবিষয় ছাত্রদের বুঝানো এবং তা আদায় করা সহজ হয়। ছাত্ররাও পাঠগ্রহণে আনন্দ ও উৎসাহ লাভ করে। উপরন্তু শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নিচ্ছেন কিনা? তার দেয়া পাঠ শিক্ষার্থীদের বোধগম্য হল কিনা ? তা মনিটর করার জন্য রয়েছে একটি বিশেষ সেল।
পাঠদানে কোন শিক্ষকের সমস্যা হলে তবে তা আপগ্রেড রার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পড়া বুঝতে যদি ছাত্রের নিজস্ব সমস্যা বা পারিবারিক কোন সমস্যা থাকে তবে তা নিরসনের জন্য বিশেষ মনিটরিং সেল প্রয়োজনবোধে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বাসায় গিয়ে অভিভাবকের সাথে আলোচনা করে তা সমাধান করেন। দুর্বল ছাত্রদের জন্য প্রতিদিন ক্লাস শেষে রয়েছে রিফ্রেশমেন্ট কোর্স। যেখানে পঠিত সকল বিষয় সমূহের পুনরালোচনা, মূল্যায়নসহ বাড়ির কাজ তৈরীর দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। এই ব্যবস্থার ফলে ছাত্রদের আর প্রাইভেট টিউটর বা কোচিং সেন্টারে যেতে হয় না।
পর্যালোচনা ক্লাস
আমাদের রয়েছে নিম্নশ্রেণীতে একসাথে দুইজন শিক্ষক–শিক্ষিকা দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা। তাঁরা পাঠদান, বাড়ির কাজ ও ডায়েরী লেখার কাজ সম্পাদন করেন। যার ফলে শ্রেণী পাঠ্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ে পরিপূর্ণতা পায়।পূর্বঘোষিত পাঠ্যসূচী ভিত্তিক শিক্ষকমন্ডলী প্রতিদিনের পাঠ শ্রেণীতে উপস্থাপনের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পাঠটীকা প্রণয়ন করেন। উক্ত পাঠটীকা অনুসারে শ্রেণী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ক্লাস নির্ভর ও প্রাইভেট নির্ভরতামুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিদিন ক্লাস শেষে RC এর মাধ্যমে পাঠের পুনরালোচনা ও মূল্যায়ন সহ HW তৈরির জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞানাগার
কম্পিউটার শিক্ষা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি অপরিহার্য অঙ্গ। তাই এ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য রয়েছে নির্ধারিত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী। বিভিন্ন ধরনের সিডির মাধ্যমে WordMaking –সহ শিশুদের অনেক বিষয়ে পাঠদান করা হয়। সময়ের প্রয়োজনেই আধুনিক কম্পিউটার নিয়ে গড়ে উঠেছে কম্পিউটার ল্যাব। গল্প, প্রবন্ধ, সাহিত্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানের ২০০০ বই নিয়ে গড়ে উঠেছে বিশাল লাইব্রেরী যেখানে ছাত্র–ছাত্রীরা সময় পেলেই ডুব দেয় জ্ঞান সাগরে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ পদার্থ, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব।
ডিজিটাল ক্লাসরুম
২০২১ সালের মধ্যে ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের সকল মানুষের জীবন সহজ, সুন্দর ও আনন্দময় করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ’তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়টি শিক্ষা ব্যবস্থার সকল ধারায় বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। তাই সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের মাধ্যমে প্রজেক্টরের সাহায্যে ICT প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির নুতন সংযোজন ডিজিটাল পেন এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করা হয়েছে সারমনের ডিজিটাল ক্লাসরুম। ডিজিটাল স্ক্রীনে পাঠ্যবিষয়ের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই পড়া আয়ত্ব করতে পারছে। ক্লাসে উপস্থিতির হারও বেড়ে গেছে।
পরীক্ষা পদ্ধতি
নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রেণীতে তিনটি Terminal Exam (First, Middle & Last Term) হয়ে থাকে। প্রতিটি পরীক্ষার পূর্বে নিয়মিত পাক্ষিক ও মাসিক পরীক্ষা নেয় হয়। সবগুলো পরীক্ষার সমষ্টিগত গড় ফলাফলে ভিত্তিতে শিক্ষাবর্ষ শেষে চূড়ান্ত মূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্র–ছাত্রীদের মেধাস্থান নির্ণয় করা হয়।
স্পোকেন ইংলিশ
ইংরেজি ভাষায় কথোপকথন ও ইংরেজী বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রেণির মান অনুযায়ী Spoken English আমাদের শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সাফল্যের সাথে টিকে থাকতে হলে আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজিতে Skill ও Fluency থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র–ছাত্রীদের ইংরেজী ভাষায় কথোপকথনে দক্ষতা বৃদ্ধি ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেক শ্রেণীতে ইংরেজীতে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন সুদক্ষ শিক্ষক দ্বারা স্পোকেন ইংলিশ ক্লাসের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডিবেটিং ক্লাব
শিশুর সৃজনশীল ক্ষমতা পরিপূর্ণ বিকাশসহ পাঠক্রমিক কার্যবলীর মধ্যে বিতর্ক অধিক সৃষ্টিশীল ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর অধীনে নিয়েমিত বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আমাদের রয়েছে সাপ্তাহিক ডিবেটিং ক্লাসের ব্যবস্থা।
নাইট– কেয়ার:
সারমনের ২০২০ সালের নুতন সংযোজন নাইট– কেয়ার। অভিভাবকদের প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে, কর্মব্যস্ত অভিভাবকদের সুবিধার্থে এবং তাদের সন্তানদের গতিশীল ও সমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানে রয়েছে নাইট– কেয়ার। এটি স্কুল ছুটির পর বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার সব রকমের সুযোগ–সুবিধায় পূর্ণ একটি আদর্শ ব্যবস্থা ।এই ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের সন্ধ্যা ৫ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্কুলে থাকতে হয়। তাদের জন্য রয়েছে সুষম খাবারসহ নাস্তা ও রাতের খাওয়া। আবার ডে–কেয়ারে রয়েছে সকাল ৮.০০ থেকে রাত ৮.০০ পর্যন্ত ডে– কেয়ার এর ব্যবস্থা, যেখানে সকাল ৮ টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত তাদের মানসম্মত টিফিন ও খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।
উক্ত সময়কালে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক–শিক্ষিকাগণ সকল বিষয়ে পাঠদান করেন ।এই সময়ের মধ্যেই স্কুলের সকল পড়া লেখা শিখিয়ে আদায় করা হয়। ফলে বাড়িতে লেখাপড়ার সামান্যতম ঝামেলাও আর থাকেনা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা সময়ের দাবি হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। তাই আপনার সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আমাদের রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বিশেষ মনিটরিং, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
শিক্ষাসহায়ক কার্যক্রম ও নৈতিকতা প্রশিক্ষণ ঃ
একজন শিক্ষার্থীকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর তাই শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আবৃত্তি, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, নাট্যাভিনয়, সংগীত, সাধারণজ্ঞান, ক্বিরাত, হামদ্ নাত, গজল এবং খেলাধুলার সুষ্ঠ আয়োজন। সপ্তাহের নির্ধারিত সময়ে রুটিন অনুসারে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, সংগীত, নাট্যাভিনয়, হামদ, নাত, প্রভৃতি প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
সাহিত্যচর্চায় আগ্রহীদের লেখার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করা হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে সাহিত্য ও সাংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য। তাই রয়েছে নির্দিষ্ট চিত্রাঙ্কন, সংগীত এবং শরীর চর্চা শিক্ষক। প্রতি সপ্তাহে কালচারাল ক্লাসে কবিতা, ছড়া , গান, সাধারণ জ্ঞান ও বিতর্ক চর্চায় লিপ্ত থাকে এই স্কুলের ছাত্র–ছাত্রীরা। এছাড়া শিক্ষা সফর, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাতীয় দিবসসমূহ পালন করা হয় সাড়ম্বর আয়োজনে।
সারমনের একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন স্কাউটিং। নবম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্কাউটস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন পুরষ্কার অর্জন করেছে সারমনের স্কাউটসরা। নৈতিক শিক্ষার উপর ভীষণ গুরুত্ব দেয় সারমন।এখানকার সকল শিক্ষাকার্যক্রমে নীতি ও নৈতিকতার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষরুপে গড়ে উঠতে পারে।
আবাসিক সুবিধা
প্রবাসী উৎসাহী ও সচেতন অভিভাবকদের সন্তানের যথাযথ শিক্ষা প্রদান ও ক্যারিয়ার গঠনের নিমিত্তে সারমন স্কুলে রয়েছে উন্নত আবাসিক সুবিধা। নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে আবাসিক ছাত্রদের আন্তরিকতার সাথে রুটিন অনুসারে তত্ত্বাবধান করা হয়। প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ব্যবস্থাপনায় ৪টি হাউস রয়েছে। অভিজ্ঞ হাউস সুপার ও প্রতি বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হাউস টিউটর দ্বারা আবাসিক ছাত্রদের ভোর ৫ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রুটিনমাফিক শরীরচর্চা, বিদ্যালয়ে গমন, পড়ালেখা, খাওয়া, বিশ্রাম,খেলাধূলা ও ধর্মীয় উপাসনাসহ সকল প্রকার শিক্ষাকার্যক্রম সুচারুরুপে সম্পন্ন করা হয়। আবাসিক ছাত্রদের নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য নির্ধারিত ডাক্তার নিয়োজিত আছেন। সবসময় সম্মানিত অভিভাবকদের মূল্যবান ও গঠনমুলক পরামর্শ ও মতামত আন্তরিকতার সাথে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থাপনা
করোনাকালে শিক্ষা বিপর্যয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন সচল রাখতে ‘সারমন স্কুল এন্ড কলেজ’ অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করেছে।সরকার পরিচালিত সংসদ টিভির পাশাপাশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ফেসবুক এবং জুম এ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক পাঠদান করেছেন।ক্লাস শেষে রেকর্ডকৃত ভিডিও ক্লাস ডাউনলোড করে তা আবার দেখার সুযোগ শিক্ষার্থীদের পাঠ আত্মস্থ করতে ভীষণ সহায়ক হয়েছে।ছাত্রছাত্রীরা মাসিক পরীক্ষা, সাময়িক পরীক্ষাসহ নানা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এ্যাসাইনমেন্টও সম্পন্ন করেছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে আমাদের এই শিক্ষাসেবা।
পরিশেষে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,আমাদের বিশ্বাস গতানুগতিকতা পরিহার করে আধুনিক টিউটোরিয়াল সিস্টেম, নিয়মিত পরীক্ষাসহ শিক্ষকগণের নিরবচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন সম্ভব। এর মাধ্যমে সুসমন্বিত ও কল্যাণধর্মী জীবন যাপনের জন্য সচেতন কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ সৎ ও প্রগতিশীল দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন করে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রয়াসে কর্তব্যনিষ্ঠ ও কর্মকুশল জনশক্তি সরবরাহ করা এবং শিক্ষার্থীর আকাঙ্খা ও প্রবণতা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষা উপযোগী করে গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীকে অতীত ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতির ধারণা প্রদান ও বর্তমান সমস্যা সমাধানের দিক নির্দেশনা দিয়ে জাতির আশা আকাঙ্খার রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষে আমাদের সকল প্রয়াস।
স্থায়ী ক্যাম্পাস ঃ হিলভিউ হাউজিং সোসাইটি, বায়েজিদ. চট্টগ্রাম। ফোন ঃ ০৩১–২৫৮০৮৬৪,৬৮১৬৬০।
নাসিরাবাদ ক্যাম্পাস ঃ ২ নং গেইট,মসজিদ গলি, ষোলশহর, চট্টগ্রাম। ফোন ঃ ০৩১–৬৫১১৯৮,০১৮৬৯–৪৯৮৩৩২
Discussion about this post