বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আবাসিক হল খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর শাবিপ্রবি প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমাদের দুই সেমিস্টারের জন্য টিউশন ফি (সেমিস্টার প্রতি ৪০০ টাকা) এবং যাতায়াত ফিসহ (সেমিস্টার প্রতি ৫৩০ টাকা) সর্বমোট মওকুফ করা হয়েছে ১৮৬০ টাকা।
তারা বলেন, প্রতি সেমিস্টারে আমাদের সেমিস্টার ফি এবং ক্রেডিট ফি দিতে হয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। যা, দুই সেমিস্টার মিলিয়ে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আমাদের মওকুফ করা হয়েছে মাত্র প্রায় ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
কিন্তু আমাদের দাবি ছিলো সকল ধরনের ফি (সেমিস্টার ফি এবং ক্রেডিট ফি) ৭০ শতাংশ মওকুফ করতে হবে। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রতিটি দাবি ও একটি প্রশ্নের যথোপযুক্ত জবাব না পাচ্ছি, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে মাস্টার্স শেষ বর্ষের ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া হবে। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া হবে। এছাড়া ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা ও ২ ঘণ্টার পরীক্ষাগুলোকে এক ঘণ্টার মধ্যে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হল খোলার ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের করণীয় কিছু নাই। ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। আমরা বিভাগীয় প্রধানদেরকে বলেছি, তারা মেয়েদের ব্যাপারে চিন্তা করবে, সাহায্য করার চেষ্টা করবে। কিন্তু ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনোভাবে হল খোলার সুযোগ নেই।
Discussion about this post