নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন বছরের বই বিতরণ আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছরে ঝাকঝমকভাবে বই উৎসব না হলেও গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে স্কুলে স্কুলে বই বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলো বই বিতরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি নতুন বই ছাপিয়েছে সরকার। আজ থেকে সারা দেশে পর্যায়ক্রমে ১২ দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিতরণ করা হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক।
বই বিতরণের জন্য স্কুলগুলোতে শ্রেণিভিত্তিক বুথ করা হয়েছে। একজন শিক্ষক একটি বুথের দায়িত্বে থাকবেন। শিক্ষার্থীরা বুথ থেকে বই সংগ্রহ করবে। অনেক উপজেলায় বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে এবার প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে তিন দিন করে সময় দেওয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই বিতরণে মোট ১২ দিন সময় পাবে বিদ্যালয়গুলো। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে বই পাঠানো হয়েছে। স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করবে। স্কুলগুলো আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের ব্যবস্থা করবে।
আজ শুক্রবার থেকে ৩ জানুয়ারি নবম শ্রেণির, ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি অষ্টম শ্রেণির, ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি সপ্তম শ্রেণির এবং ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই দিতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই ১ জানুয়ারি বিতরণ শুরু হচ্ছে। স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীদের বই নিতে হবে। এক দিনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বই বিতরণ করা যাবে বলে ধারণা মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। তবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে ৬০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আছে সেসব স্কুলে বই বিতরণে দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে।
Discussion about this post