নিজস্ব প্রতিবেদক
বই উৎসব না হলেও গতকাল শুক্রবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বই পাওয়ার পর থেকে আনন্দে মেতেছে দেশের বিভিন্ন বিভাগের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে নিজ নিজ স্কুলে নতুন বছরের বই বিতরণ চললেও কুমিল্লার একটি এলাকায় যে সব ছাত্র-ছাত্রী বই আনতে স্কুলে যায়নি তাদের বই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন শিক্ষকরা।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) কুমিল্লা শহরের চানপুর এলাকায় ভ্যানে করে বই পৌঁছে দেন কুমিল্লা হাইস্কুলের এক দল শিক্ষক। তালিকা ধরে বই বিতরণ করেন। যেসব এলাকায় ভ্যান নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি, সেসব এলাকায় হাতে করে বই নিয়ে যান শিক্ষকেরা।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দেওয়ার বিষয়ে কুমিল্লা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, করোনার কারণে এবার বই-উৎসব সেভাবে করা গেল না। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দিচ্ছি।’
একই দিন কুমিল্লা মহানগর ও জেলার ১৭টি উপজেলার সব শিাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক বই বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে পিরোজপুরের কাউখালীতে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ দিবসে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি সেবার নৌকায় গিয়ে মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন ইউএনও মোছা. খালেদা খাতুন রেখা।
শুক্রবার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন ইউএনও। করেনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় পাঠ্যপুস্তক বিতরণে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় কান্তি চাকী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন তালুকদার, আমরাজুড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার দাস, আব্দুল লতিফ খসরু, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক।
Discussion about this post