নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারী করোনার এই সময় এবং উত্তরকালে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন নারী শিক্ষার্থীকে শান্তি, সামাজিক সংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড পরিহার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ‘উইমেন লিডার্স’।
এই প্রশিক্ষিত নারী লিডাররা নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি, সামাজিক সংযোগ, ঘৃণা-বিদ্বেষ পরিহার, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
উইমেন লিডার্স প্রকল্পটি পরিচালনা করবেন মো. বাকীবিল্লাহ। তিনি বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রকল্পটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নেটওয়ার্ক ফর রিলিজিয়াল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্স’ এর আওতায় আহা (অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন) প্রজেক্টের একটি উদ্যোগ। যেখানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিশেবে যুক্ত আছে ‘ফিন চার্চ এইড’, ওয়ার্ল্ড ফেইথ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি উইমেন লিডার্স জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের থেকে আবেদন আহ্বান করেছে। আবেদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ:
প্রোগ্রাম এবং সময়কাল:
নির্বাচিত নারী শিক্ষার্থীরা অফলাইনে এবং অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। সেমিনার, কনফারেন্স, প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ, লেখালেখি, প্রতিযোগিতা, ফিল্ড ভিজিট, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদেরকে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো হবে। এই কর্মসূচির সময়কাল হবে সাত মাস; জানুয়ারি-জুলাই ২০২১। নির্বাচিত ও প্রশিক্ষিত নারী নেতৃরা ‘উইমেন লিডার্স পিস অ্যাম্বেসডর’ হিসাবে বিবেচিত হবে। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন।
যারা আবেদন করতে পারবে?
১. জাতীয় কাবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ- এ পড়াশোনারত নারী শিক্ষার্থী।
২. অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উইমেন পিস ক্যাফের (WPC) সাবেক ও বর্তমান সদস্য।
৩. অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থী-সংগঠনের নারী শিক্ষার্থী।
৪. অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী নারী শিক্ষার্থী।
৫. শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ সম্ভাব্য নেতৃত্ব।
৬. স্মার্টফোন/ ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা আছে যাদের।
৭. শান্তি রক্ষা , সামাজিক সংহতি এবং ঘৃণামূলক বক্তৃতা ও কর্মকাণ্ড অপসারণে আগ্রহী।
৮. নারীর প্রতি ঘরোয়া সহিংসতা রোধে কাজ করতে ইচ্ছুক।
নির্বাচিতরা যেসব সুবিধা পাবেন:
১. মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ।
২. বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ।
৩. সংলাপ, সেমিনার এবং সিম্পোজিয়ামে
৪. ইন্টারনেট ক্রয় এবং প্রোগ্রাম ভিত্তিক সম্মানী
৫. নেতৃত্ব, প্রোগ্রাম পরিচালনা, প্রকল্প পরিচালনাসহ বিবিধ দক্ষতা অর্জনের সুযোগ।
৬. প্রতি মাসে/প্রোগ্রামে পুরস্কার এবং উপহার জয়ের সুযোগ।
৭. উইমেন লিডার্সের অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত লেখার সুযোগ।
৮. প্রকল্প থেকে সার্টিফিকেট/প্রশংসাপত্র প্রদান করা হবে।
কিভাবে আবেদন করতে হবে?
আগ্রহী নারী শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করে নিম্নলিখিত অনলাইন গুগল ফর্ম লিংকের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। অথবা, ইমেইলে পিডিএফ ফর্ম্যাট আবেদন প্রেরণ করা যাবে।
আবেদনের শেষ সময় রবিবার ১০ জানুয়ারি ২০২১
Discussion about this post