নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারী করোনায় প্রায় স্থবির পুরো শিক্ষাব্যবস্থা। এরমধ্যেও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল, বই ও গবেষণা সম্মেলনগুলোর তথ্য নিয়ে কাজ করা স্কপাসের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সংস্থাটির তালিকায় দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ৩য় স্থানে উঠে এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের তালিকাভুক্ত বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যার দিক থেকে এমন অর্জন রাবির।
সংস্থাটির সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বলছে গত বছর (৬ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত) রাবির গবেষকগণ ৪৭০টি মতো গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। আগের বছরের ৩৩০টি প্রকাশনা থেকে ৪৬৫টিতে উন্নীত করে রাবির গবেষকগণ। অর্থাৎ করোনা মহামারীর মধ্যেও আগের চেয়ে ১৩৫টি বেশি গবেষণা প্রকাশ করতে পেরেছেন তারা। এতে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে ৪র্থ থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাবির গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মধ্যে ৭৪ শতাংশই আর্টিকেল। বাকি গুলো প্রকাশ হয়েছে কনফারেন্স পেপার, রিভিউ আর্টিকেল এবং বইয়ের অধ্যায় হিসেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় সর্বোচ্চ ২০টি গবেষণা নিয়ে শ্রেষ্ঠ গবেষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
স্কপাসের তালিকাভুক্ত বিভিন্ন জার্নালে ১৭টি গবেষণা প্রকাশ করে ২য় অবস্থানে আছেন বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। আর ১২টি প্রকাশনা নিয়ে যৌথভাবে ৩য় অবস্থানে আছেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাকের হোসেন ও অধ্যাপক অলোক কুমার পাল এবং ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক এম ইয়ামিন হোসেন।
এ তালিকার শীর্ষ ১৫ জন গবেষকের সবাই ৭টির বেশি করে আর্টিকেল প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এতো প্রকাশনার মধ্যেও রাবির গবেষকদের প্রকাশিত মাত্র ৩টি গবেষণাকর্ম তাদের তহবিলের উৎস হিসেবে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলেছে।
গবেষণার বিষয়বস্তু:
রাবির গবেষকদের প্রকাশিত প্রকাশনা গুলোর বিষয়বস্তু সম্পর্কিত তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, এবার সর্বোচ্চ ১২.১ শতাংশ গবেষণা প্রকাশ হয়েছে প্রকৌশল বিষয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ শতাংশের বিষয়বস্তু ছিল মেডিসিন। অন্যান্য বিষয় গুলোর মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি, জিনেটিক্স এবং মলিকুলার বায়োলজি ৮.৯ শতাংশ, ৮.১ শতাংশ ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান সম্পর্কিত। আর পদার্থবিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে প্রকাশনা ছিল ৭.৫ ভাগ। এরচেয়ে কম ৭.১ শতাংশ বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা হয়েছে কৃষি, জীব বিজ্ঞান ও শক্তি নিয়ে। আর ৬ শতাংশ গবেষণা প্রকাশ করে ম্যাটেরিয়াল সাইন্স। মাত্র ৫ শতাংশ গবেষণা প্রকাশ করে সবার শেষে আছে রসায়ন।
Discussion about this post