নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সাত কলেজের নতুন প্রধান সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এস মাকসুদ কামাল।আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
নতুন প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব নেয়ার পর সাত কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, করোনাকালীন সময়ে পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি অবশ্যই সহনশীল হবে এটাই স্বাভাবিক। করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজেও অনলাইন ক্লাস চলমান রাখা হয়েছে। এতে আশা করা যায়, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনর মধ্যেই ছিল।
এর আগে গত বুধবার (০৬ জানুয়ারি) করোনা পরিস্থিতিতে অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের বিষয়ে জানান কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। এতে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, যদি প্রশ্নের কাঠামোর পরিবর্তন করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করতে হবে। এতো বড় সিলেবাস থেকে কম সময়ে এতো উত্তর নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আর যদি সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব না হয় তবে আগের মতোই প্রশ্নের কাঠামো ঠিক রেখে ৪ ঘণ্টায় ৮০ নম্বরের প্রশ্ন করা হোক। সেখান থেকে ২ ঘণ্টায় ৪০ নম্বরের উত্তর (শিক্ষার্থীদের ইচ্ছেমত) দেওয়ার সুযোগ করলে সবচেয়ে ভালো হবে।
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেছেন, স্থগিত পরীক্ষা ২ ঘণ্টার হবে। সম্পূর্ণ নতুন যেগুলো শুরু হবে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাবির একাডেমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ ঘণ্টায় এসব পরীক্ষা নেয়া হবে। অর্থ্যাৎ পূর্বে ৪ ঘণ্টায় যেখানে শিক্ষার্থীরা ৮০ নম্বরের উত্তর প্রদান করতেন সেখানে এই সিদ্ধান্তক্রমে পরীক্ষার্থীরা এখন ২ ঘণ্টায় ৮০ নম্বরের উত্তর প্রদান করবে।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া এবং অভিযোগ-পরামর্শ আমরা সবসময় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে থাকি। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই কর্তৃপক্ষ তাদের প্রশ্ন প্রস্তুত করবেন। শিক্ষকরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রশ্ন করবেন। এতে শিক্ষার্থীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তাদের উচিৎ উপযুক্ত প্রস্তুতি নেয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের বিভিন্ন বিভাগেও পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়েছে। এতে করে চাকরির প্রতিযোগিতার বাজারে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও যাতে করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্যই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি সেহেতু স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় যত কম সময়ে সম্ভব কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শেষ করার সেই চেষ্টাই করছে।
Discussion about this post