শিক্ষার আলো ডেস্ক
মহামারী করোনায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনটি ইউনিটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এতে বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট থাকছে না। এর প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এবার বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট চেয়ে রিট করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগ পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থী ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. শফিকুল ইসলাম শফি জানিয়েছেন, ‘বিজয় আমাদের খুব নিকটে। তাই হাল ছাড়বেন না কেউ। রিট পিটিশন হবে খুব তাড়াতাড়ি। গতকাল আইনজীবীর কাছে আমাদের আহ্বায়ক রাকিব ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল রিট পিটিশনের জন্য যাবতীয় তথ্য দিয়ে এসেছেন। এইচএসসির ফলাফল ঘোষণার পর রিট করা হতে পারে।’
এসময় দাবি আদায়ে আগামী ২১ জানুয়ারি কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং মানবিক ইউনিট থেকে বিভাগ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঠিক করবে। তবে বিভাগ পরিবর্তনকারী ইউনিট না থাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একাংশ আপত্তি তুলেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন বিভাগ পরিবর্তনকারী ইউনিট না থাকলে তারা বিপাকে পড়বেন।
এ অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন তারা। বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের মাধ্যমে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে মানবিকের সঙ্গে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। মানববন্ধনসহ কয়েকদফা কর্মসূচিও তারা পালন করেছেন। এ আন্দোলনকারীদের বড় অংশই বিজ্ঞান বিভাগের এবং দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু বলে জানা গেছে।
তবে তাদের সে দাবি আগেই নাকচ করে দিয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এই প্রসঙ্গে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান রোববার (১৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিভাগ পরিবর্তন নিয়ে একেকদিন একেকটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না। আমরা আরও দু’মাস আগে বলে দিয়েছি, কীভাবে পরীক্ষা হবে। এটার মধ্যে কোনো পরিবর্তন হবে না। আরেকটা সিদ্ধান্ত হলে দেখা যাচ্ছে আরেকটা আন্দোলন হবে। অন্য গ্রুপ করবে। ডি গ্রুপ থাকবে না এটা বহু আগে বলে দিয়েছি। এতে বিভাগ পরিবর্তনে কোনো সমস্যা হয় না।’
Discussion about this post