নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে ফের আলোচনায় বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ইউজিসি ছাড়াও বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট এবং চুয়েটের উপাচার্য ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত একজন উপাচার্য বেলা পৌণে ১২টার দিকে বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেছি। এসময় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বুয়েট বাকি তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব পুনরায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এখনো একমত হতে পারেনি চার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রস্তাবে বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি রাজি হতে না পারায় এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বুয়েট ছাড়াই বাকি তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটের আলাদা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটের উপাচার্য এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে সবাই একমত হতে না পারায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। ওই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া গেলেও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে ইউজিসি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, শেষ পর্যন্ত বুয়েট গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না এলে রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েট আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেবে। বুয়েটের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে চারটি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। এতে উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুরা বুয়েট ক্যাম্পাসে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবে। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। এ প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে থাকতে চায় বুয়েট।
তবে বুয়েটের প্রস্তাবিত এ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্য তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় তিনটির কর্তৃপক্ষ বলছে, গুচ্ছ পরীক্ষা হলে অবশ্যই সম-অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হতে হবে। অর্থাৎ একেক বছর একেক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া সবার সমান অংশগ্রহণে যে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি থাকবে, সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাবনা দিয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউজিসির পাশাপাশি বুয়েটকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post