নিজস্ব প্রতিবেদক
পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপিত তিনটি বিল পাস করানোর সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। বিল তিনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাসের সুপারিশ করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিল তিনটি পাসের সুপারিশ করেন।
আজকালের মধ্যেই জাতীয় সংসদে বিল তিনটি পাস হতে পারে। এখনকার বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পরীক্ষার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার বিধান রয়েছে। সংশোধিত বিলে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে। বিলটি পাস হলে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকবে না।
উত্থাপনের পর দ্রুত ফলাফল দেয়ার জন্য বিলগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার করতে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে অল্প সময় দিয়ে পাঠানো হয়। এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে জাতীয় সংসদে বিল তিনটি উত্থাপন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে বিল নিয়ে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
বিলগুলো হলো- ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল- ২০২১ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১। পরে ইন্টারমিডিয়েট বিলটি একদিনের মধ্যে এবং অন্য দুটি দুদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
এরমধ্যে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন বিলটি উত্থাপন নিয়ে আপত্তি জানান সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। বিলটি সংসদে উত্থাপনের আগে নোটিশ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা না পাওয়ায় আপত্তি জানান তিনি। এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবের দেওয়া বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ফখরুল ইমাম।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান। এখন পরীক্ষা তুলে দেবেন, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কিনা? পরীক্ষা ও পদ্ধতির কথা বলা আছে, ওঠানোর কথা নেই। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, সে প্রশ্নও করেন তিনি। এছাড়া কার্যপ্রণালী বিধির ৭৭ (ঙ) অনুসরণ না করার কারণে সংসদ সদস্যদের অধিকার খর্ব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জবাবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমার অনুমতিতেই বিলটি এসেছে, এর কিছু গুরুত্ব আছে। তিনটি বিল আমাদের পাস করাতে হবে। বিল তিনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারির কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনা জারির বিষয় উল্লেখ রয়েছে।’
Discussion about this post