নিজস্ব প্রতিবেদক
সীমিত পরিসরে হলেও আবাসিক হল খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে লক্ষ্যে কোন হলে কোন বর্ষের কত শিক্ষার্থী থাকেন সেই তালিকা হলগুলোর প্রভোস্টদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রভোস্টরা সেই তালিকা জমাও দিয়েছেন। আগামী সোমবার (২৫ জানুয়ারি) হল প্রভোস্টদের এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আবাসিক হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয় ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিল। তবে হল না খোলায় পরীক্ষা না দেয়ার পক্ষেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী। সেজন্য বিভিন্ন অনুষদের আওতায় থাকা বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে পারছে না। তাই সীমিত পরিসরে আবাসিক হল খুলে এসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
সূত্র আরও জানায়, হল খোলা হলেও শুরুতে মাস্টার্স এবং অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। প্রথমে তাদের হলে রেখে বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বলেন, আমরা চাইনা করোনার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক। সেজন্য ধাপে ধাপে তাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মাস্টার্স এবং অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলগুলো খুলতে চাই। চূড়ান্ত পরীক্ষা না হওয়ায় তারা বের হতে পারছে না। তাই শেষ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সীমিত পরিসরে কীভাবে আবাসিক হলগুলো খোলা যায় সে বিষয়ে হল প্রভোস্টদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে তারা আমাদের এই বিষয়ে রিপোর্ট করবেন। এরপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একটি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কত শিক্ষার্থী থাকতে পারবে সে জন্য হল প্রভোস্টদের কাছে হলে অবস্থানরত বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের তালিকা জানতে চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী সোমবার হল প্রভোস্টদের এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে তারা এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করবে। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারকরা বৈঠকে বসে হল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
Discussion about this post