শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের কিশোর শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইনস্টিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিয়ান খান জয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ সূচনা। এটি ছিল স্বাধীনতা অর্জনের মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীতে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি সংগ্রামী জনতা স্বৈরাচারী আইয়ুব দমন-পীড়নের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করেছিল। ২০ জানুয়ারি পাক পুলিশের গুলিতে শহীদ হন গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান (শহীদ আসাদ)। আসাদের আত্মদানের পর তার রক্তামাখা শার্ট নিয়ে তাৎক্ষণিক মিছিলে বের করে ঢাকা বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের ছাত্ররা। পরে তীব্র আন্দোলন ও ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালন করে সারাদেশ।
২৪ জানুয়ারি ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউরসহ অন্য একজন শহীদ হন। এরপর আন্দোলন পরিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থানে রুপ নেয়।
বরাবরের মতো এবারও ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবসটি পালনে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
Discussion about this post