শিক্ষার আলো ডেস্ক
জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ না পাওয়া ১৭ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে জিপিএ ফাইভ দেয়া হয়েছে। অপর দিকে জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া ৩৯৬ জন শিক্ষার্থীকে এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ দেয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বহু অপেক্ষার পর পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ ফল ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে ফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
এইচএসসি ও সমমানে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থীকে জিপিএ ফাইভ দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। গতবছর ৪৭ হাজার ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানে জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন। তার আগের বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন ২৯ হাজার শিক্ষার্থী।
১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করা শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সে হিসেবে মোট ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন।
মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হল। সে হিসেবে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এবার ফল অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হচ্ছে না। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, রেজাল্টের ওয়েবসাইটে www.educationboardresults.gov.bd থেকে ফল দেখা যাবে। এছাড়া https://eboardresults.com/v2/home থেকে পরীক্ষার্থীদের ফল জানা যাবে।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সে বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। মন্ত্রী জানান, জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
উপরোক্ত এইচএসসির ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনোপ্রকার অসন্তোষ মনোভাব হলে আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি থেকে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করতে পারবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে।
Discussion about this post