নিজস্ব প্রতিবেদক
, মানবসভ্যতার অন্যতম সম্পদ ইংরেজি সাহিত্যে ব্যুৎপত্তি লাভে মাস্টার্সের একাডেমিক অধ্যয়নের গুরুত্ব অনেক। শিক্ষার্থীদের তাই ইংরেজি সাহিত্যের গভীরতর বিশ্লেষণে পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে। সাহিত্যের শিক্ষায় জীবন রাঙাতে হবে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স এর অধীনে এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রামের ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেছেন।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনে উন্নততর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ও জ্ঞান সংগ্রহ করতে পরামর্শ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মু. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দেশে-বিদেশে সর্বত্রই ইংরেজিতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েটদের কদর রয়েছে। বর্তমান শতাব্দীর বৈচিত্র্যময় শ্রমবাজারে প্রয়োজনীয় ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাজানো হয়েছে ইডিইউ’র এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রামের সিলেবাস। অন্যদিকে সাহিত্যের নানা উপাদান ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়। ফলে শিক্ষার্থীরা বহুমুখী দক্ষতায় দীক্ষিত হয়ে পেশায় ও চিত্তে বিকশিত হচ্ছে।
এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান এ প্রোগ্রামটির বিশেষত্ব ও গুরুত্ব তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সাহিত্য সংস্কৃতির আধার। ইংরেজি সাহিত্য কেবল ইংরেজিভাষী দেশের সাহিত্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের। তাই এ সাহিত্য পাঠে নানা জাতির সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। ইডিইউর এমএ ইন ইংলিশের কারিকুলামে এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয় বলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আন্তর্জাতিকতা ও বিশ্বসংস্কৃতির চেতনা জাগ্রত হয়। এছাড়া বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচির আদলে দক্ষিণ এশীয় ইংরেজি সাহিত্য, সমকালীন ইংরেজি সাহিত্যের তুলনাত্মক পাঠ, ইংরেজি ভাষা পাঠদানের আধুনিক পদ্ধতি প্রভৃতি বিষয়ের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে এই প্রোগ্রামের কারিকুলামে।
নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মু. নাজিম উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ আহমদ রিপন ও প্রবাল দাশগুপ্ত।
Discussion about this post