নিজস্ব প্রতিবেদক
গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী এবার গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪ লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিটে ১ লাখ ৩০ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ধারণ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিনে কত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আয়োজন করা যায় সেটির হিসেব করা হয়েছে। সে হিসেবে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিনে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আয়োজন করা যাবে। এর বেশি হবে না। ৩টি ইউনিট হিসেব করলে ৪ লাখ শিক্ষার্থী এবার গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নির্ধারিত জিপিএ নিয়ে পাস করা সব শিক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপর প্রথম ধাপে আমরা তাদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত করবো। প্রথম ধাপে আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। যারা নির্বাচিত হবেন তাদেরকে দ্বিতীয় ধাপে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়েই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে শাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, এবার আবেদনের যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ আবেদন করতে নূন্যতম জিপিএ ৭ থাকতে হবে। কমার্সের ক্ষেত্রে সাড়ে ৬ এবং আর্টসের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ৬ থাকতে হবে।
Discussion about this post