শিক্ষার আলো ডেস্ক
এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যারা দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করছে, তাদের নম্বর না কাটার দাবি জানানো হয়েছে। কারণ নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের ৫ থেকে সাড়ে ৭ নম্বর কাটা হয়ে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিখিতভাবে এই দাবি জানান দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
চিঠিতে তারা বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। ইতিমধ্যে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে প্রায় দুই বছর পিছিয়ে গিয়েছি, যে ক্ষতি অপূরণীয়। করোনা পরিস্থিতি, এইচএসসি ও পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি, নিজেরাসহ পরিবারের সদস্যদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া, এমনকি আমাদের কারো কারো আপনজনের মৃত্যুতে আমরা যে মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছি, সেটি হয়তো মুখে বলে বা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, গতবারের এইচএসসি পরীক্ষার তুলনায় এই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর পরিমাণ প্রায় ৩ গুণেরও বেশি। প্রতি বছর দেখা যায়, এসএসসিতে যারা জিপিএ-৫ পায় তাদের অধিকাংশই এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায় না।
কিন্তু এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের ফলাফলে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা নিঃসন্দেহে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি। এই ফলাফলের ওপর যদি তারা ২০০ নম্বর পায় তাহলে সেটি আমাদের ক্ষেত্রে অন্যায় হবে। এক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনার জন্য ‘ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ফলাফলে অতিরিক্ত জিপিএ-৫ এর কারণে বিপুল শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দুই-তৃতীয়াংশ নম্বর পরীক্ষা না দিয়েই পেয়ে যাচ্ছে। যেখানে আমাদের প্রত্যেকটি নম্বর পরীক্ষা দিয়ে অর্জিত। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে অতিরিক্ত ৫ বা সাড়ে ৭ নম্বর কাটা হলে বিষয়টি আমাদের স্বপ্ন পূরণে অন্তরায়।
এ বিষয়ে চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি তিনি জানেন। তবে এ বিষয়ে ভর্তি কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে। অথবা বলা যায়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ভর্তি কমিটির।
জানা গেছে, আগের নিয়মেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নেবে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে আগামী ২ এপ্রিল এমবিবিএস এবং ৩০ এপ্রিল ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটের বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ বছর আগের নিয়মেই ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ১০০ নম্বরসহ মোট ২০০ নম্বরের জাতীয় মেধা তালিকা প্রণয়ন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
Discussion about this post