নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারী করোনায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে নেওয়া, পুষ্টি নিশ্চিত করা, তাদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ঝরে পড়া রোধসহ বিভিন্ন রকম শিক্ষা দিতে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘সূর্য ক্লাব’ গঠন করা হবে।
গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে এই ক্লাব গঠন করা হবে। প্রাথমিকভাবে দেশের বিভিন্ন উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এটি প্রতিষ্ঠা করা হবে। যদি এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়, তাহলে গ্রামাঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে দেশে সব বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ মাজারুল হক মাসুদ বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে শহরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। করোনার সময় গ্রাম ও শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সে কারণে বৈষম্যও তৈরি হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার শেখানো হবে।
শিক্ষার্থীদের পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ঝরে পড়া রোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে গঠন করা হবে ‘সূর্য ক্লাব’গঠন করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এটি করা হবে।
যদি এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়, তাহলে গ্রামাঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে দেশে সব বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ’মোহাম্মদ মাজারুল হক মাসুদ জানান, ইনোভেশন কনসালটেন্ট প্রাইভেট লিমিটিডের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সরকারের কোনও অর্থ ব্যয় হবে না।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গুণগত শিক্ষা অর্জনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সঙ্গে ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেডের এই কাজে আগ্রহ প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সকল বিভাগের নির্ধারিত বিভিন্ন উপজেলায় কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করতে নির্বাচিত ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘সূর্য ক্লাব’ গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। শর্ত সাপেক্ষে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে ইনোভেশন কনসালটেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড।
এই কর্মসূচিতে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করে ডিজিটাল ডিভাইস সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসন করা হবে। বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে হাইজিন কর্নার স্থাপন করা হবে।
শিক্ষার্থীরা নিজের কাজ যাতে নিজেরাই করতে পারে তা শেখানো হবে। নিজেরা নিজেদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারে সে লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে পুষ্টি মাঠ তৈরি করা হবে। পুষ্টি মাঠে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বিভিন্ন শাক-সবজির গাছ লাগাবে।
এছাড়া বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে।
সূর্য ক্লাব এর প্রতি শর্তসমূহ:
- ১. শ্রেণি কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবেনা;
- ২. পাঠ্যক্রমের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
- ৩. পুষ্টি মাঠ তৈরিতে খেলার মাঠ নষ্ট করা যাবে না।
- ৪. প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে:
- ৫. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা ইনােভেশন কলসালটেন্ট প্রা: লি: গৃহীত কার্যক্রমসমূহ মনিটরিং ও মূল্যায়ন করবে;
- ৬. মাউশি অধিদপ্তরের কোন অর্থনৈতিক সংশ্লেষ থাকবে না;
- ৭. কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি তিনমাস পরপর মাউশি অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে;
- ৮. বিদ্যমান রাষ্ট্রিয় বিধি-বিধান এবং নীতিমালা অনুসরন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে;
Discussion about this post