নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিআইজেড বাংলাদেশের টেক্সটাইলস শিক্ষা এবং এ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য আরও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে । এ লক্ষ্যে ‘হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল টেক্সটাইলস ইন বাংলাদেশ (হেল্ড)’ নামে নতুন একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (৮ ফেব্রয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বছর মেয়াদি প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ২০২১ সাল থেকে শুরু করতে চায় জার্মানির সংস্থা। প্রকল্পটি ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০’-এর উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করবে।জিআইজেড এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. ক্রিশ্চিয়ান বখম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসি সদস্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতে নতুন এ প্রকল্প শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. ক্রিশ্চিয়ান বখম্যান।
এ সময় ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক দূর্গা রানী সরকার ও উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ড. ক্রিশ্চিয়ান বখম্যান জানান, জার্মান-বাংলাদেশ হায়ার এডুকেশন নেটওয়ার্ক ফর সাসটেইনেবল টেক্সটাইলস প্রকল্পের সফল সমাপ্তির পর তারা (জিআইজেড) বাংলাদেশে হেল্ড প্রকল্প শুরু করতে চায়। প্রায় ৩০ কোটি (৩ মিলিয়িন ইউরো) টাকার এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেক্সটাইলস খাতে উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করা হবে।
প্রকল্পটি দেশের টেক্সটাইলস ও তৈরি পোশাক খাতে গবেষণা উন্নয়ন এবং এ খাতে নিয়োজিত ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। তিনি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘জিআইজেড প্রকল্পের মূল্যায়নে দ্বিতীয় ধাপে নতুন করে হেল্ড প্রকল্প শুরুর প্রস্তাব দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে দেশের জন্য একটি ভালো সংবাদ। প্রস্তাবিত হেল্ড প্রকল্প দেশের টেক্সটাইল শিক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক অবদান রাখবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে জার্মানি এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়ে নিবিড় নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে। এর মাধ্যমে দেশের তৈরি পোশাক খাত ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।’
প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে ইউজিসি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইলস বিশ্ববিদ্যালয়কে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। প্রকল্পটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হবে। প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় পরে চূড়ান্ত করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
Discussion about this post