শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের পরিবেশ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ও (বুয়েট)।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পুরস্কারের জন্য বুয়েটকে মনোনীত করা হয়েছে। এই শাখায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিমকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র-সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কনকর্ড রেডিমিক্স অ্যান্ড কনক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কনক্রিট অ্যান্ড ব্লক প্লান্ট লিমিটেড কনকর্ড সেন্টারকে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
আর পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-ইএসডিওকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভার্চুয়াল মাধ্যমে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২০ মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ওয়াহিদ আলী সরদারের মতো মানুষ গাছের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে হাজার হাজার গাছ থেকে পেরেক ওঠানোর কাজ করছেন। নীরবে কাজ করে যাওয়া এ সকল মানুষকে উৎসাহ দিতে ভবিষ্যতে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রতি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ২২ ক্যারেট মানের ২ তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
সভায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post